কয়লার দামে ৮৪০ কোটি টাকার পানি ক্রয়!

|

কয়লার নামে ৮৪০ কোটি টাকার পানি কিনেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কয়লায় শতকরা ৫ ভাগের মতো পানি বা আদ্রতা থাকার কথা থাকলেও সরকারি হিসাব বলছে, তা ছিল প্রায় ১৭ ভাগ। এটি নির্ধারিত পরিমাণের তিন গুণেরও বেশি।

এদিকে এঘটনায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১ এপ্রিল থেকে আর বাড়তি পানি গ্রহণ করছে না পিডিবি।

বড়পুকুরিয়া, উৎপাদনে থাকা দেশের একমাত্র কয়লা খনি। এই কয়লা দিয়ে পাশেই চলছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০০৫ সাল থেকে উৎপাদনে আছে কেন্দ্রটি। বড়পুকুরিয়ায় পাওয়া যায় বিটুমিনাস কয়লা, যা অতি উন্নত মানের। উত্তোলনকারী বিদেশি কোম্পানির সাথে চুক্তি অনুযায়ী, আদ্রতা বা পানির পরিমাণ থাকবে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ১ শতাংশ। গেল সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর, তিন মাসের কয়লা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এ হার ছিল প্রায় ১৭ ভাগ। অর্থাৎ প্রতি টন কয়লায় প্রায় ১২ শতাংশ ছিল বাড়তি পানি।

প্রতি টন কয়লার দাম ১৩০ ডলার। ১ ডলারে ৮৩ টাকা ধরলে মূল্য দাঁড়ায় ১০ হাজার ৭৯০ টাকা। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর– এই তিনমাসে বাড়তি পানি এসেছে ২৪ হাজার টনেরও বেশি। আর সেই পানি কয়লার দামে কেনায় ক্ষতি ২৬ কোটি টাকা। আর ২০০৫ থেকে ২০১৮ এর জুন পর্যন্ত ৬৬ লাখ টনে, ৭ লাখ ৭৮ হাজার টন বাড়তি পানি এসেছে কয়লার সাথে। টাকার অংকে প্রায় ৮৪০ কোটি।

গেল বছর আলোচিত কয়লা চুরির ঘটনার পর সামনে আসে আদ্রতা পরিমাণের বিষয়টি। মার্চের শুরুতে বৈঠক করে নির্ধারিত ৫ দশমিক ১ ভাগের বেশি পানি আসছে কিনা, তা নিয়মিত পরীক্ষার নির্দেশ দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

প্রশ্ন হলো, আগে কি নিয়মিত কয়লার আদ্রতা পরীক্ষা করতো বিদ্যুৎ কেন্দ্র? আর বাড়তি পানির কারণে যে কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হলো, তা উদ্ধারে কি ভাবছে পিডিবি?

টিবিজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply