বরিশাল ব্যুরো
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাগারে বন্দি জাহাঙ্গীর আলম মুসা (৫০) উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের খাটিয়ালপাড়া নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষক।
এদিকে, একই উপজেলার বামরাইলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগে পিতা-পুত্রকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উজিরপুর থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, খাটিয়ালপাড়া নুরানী মাদ্রাসার প্রথম জামাতে অধ্যায়নরত সাত বছর বয়সী শিশু ছাত্রীকে দীর্ঘ দিন ধরে নানাভাবে যৌন হয়রানি করে আসছে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মুসা। সোমবার সকালে ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় গেলে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করা হয়। ঘটনার পর ওই ছাত্রী বাড়িতে ফিরে গিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। দুপুরে ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জাহাঙ্গীর আলম মুসাকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, একই উপজেলায় ধর্ষণ চেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এঘটনায় মামলা দায়েরের পর পিতা-পুত্রকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন বামরাইল ইউনিয়নের উত্তর মোড়াকাঠী গ্রামের হাচেন ব্যাপারী(৬০) ও তার ছেলে শহিদ ব্যাপারী (৩৫)।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর থানার এসআই জসিমউদ্দিন জানান, গত ৬ মে গভীর রাতে ঘরের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে শহিদ ব্যাপারী। ওই রাতে তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এসময় গৃহবধূর ডাকচিৎকারে শহিদ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে স্থানীয় মসজিদ কমিটির কাছে শহিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন ওই গৃহবধূ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার দুপুরে শহিদ বেপারী, তার বাবা হাচেন বেপারীসহ কয়েকজন মিলে তাকে পিটিয়ে আহত করে। এঘটনায় রোববার রাতে ওই গৃহবধূ মামলা করলে সোমবার দুপুরে আসামি ২ জনকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a reply