বিশ্বকাপ মিশনে অংশ নিতে মুশফিক-রিয়াদরা ডাবলিন থেকে কার্ডিফে গেলেও ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরেন দল অধিনায়ক মাশরাফি। একটু বিশ্রামের ফাঁকেই দেশের চলমান সংকট তার চোখে ধরা দেয়। কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিশ্চিত করতে নড়াইলের ডিসিকে নির্দেশনা দেন তিনি।
আপাদমস্তক ক্রিকেটে মোড়ানো জীবন হলেও তিনি যে একজন জনপ্রতিনিধি তা বেশ খেয়ালই থাকে মাশরাফির।
২২ গজের ব্যস্ততার ফাঁকে এলাকার লোকজনের খোঁজখবর যে মাশরাফি বেশ ভালো রাখতে পারেন এই পাঁচ মাসে তার উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। সাংসদ জীবনে নেমে বেশ কিছু ইতিবাচক খবরে শিরোনাম হয়েছেন মাশরাফি।
সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষ হতে না হতেই বিশ্রাম না নিয়ে নিজ এলাকায় ঝটিকা সফরে যান মাশরাফি। খুঁজে বের করেন নড়াইল হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্তব্যের অবহেলার বিষয়টি।
কর্তব্যরত ডাক্তারকে অনুপস্থিত দেখে সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন। এর জন্য রোগীও সাজান নিজেকে। ঘটনাটি সেই সময় দেশব্যাপী আলোচিত হয়।
এমন দায়িত্বপরায়ণতায় সংসদ সদস্য হিসেবেও মাশরাফিকে করে তুলেছে অনন্য। কিন্তু এসব প্রশংসার পরও মাশরাফির মুখে শোনা গেল ভিন্ন সুর। তিনি জানিয়েছেন, এখনও সে অর্থে রাজনীতি শুরু করেননি। রাজনীতি বুঝেও উঠতে পারেননি।
জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে মাশরাফি বলেন, ‘আমার পূর্ণ মনোযোগ এখন ক্রিকেটেই রয়েছে। রাজনীতিতে আমার সম্পৃক্ততা এখনও সে পর্যায়ে যায়নি। কিছু বিশেষ কাজ ছাড়া রাজনীতিতে আমার তেমন সময় দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমি এখনও নিজেকে ক্রিকেটার পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। রাজনীতি এখনও আমার কাছে ফুল টাইমের বিষয় হয়ে ওঠেনি।’
বিশ্বকাপের দিকেই এখন তার সব ধ্যানজ্ঞান বলে জানান এ নড়াইল এক্সপ্রেস। অবশ্য নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগেও এমনটিই জানিয়েছিলেন মাশরাফি। সেই সময় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, ‘যতদিন ক্রিকেট খেলব ততদিন মনোযোগ শুধু ২২ গজেই থাকবে।’
মাশরাফির বক্তব্যে বারবার বিশ্বকাপই চলে আসে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ প্ল্যাটফর্মে আমাদের দলটি বেশ অভিজ্ঞ। গত বিশ্বকাপেও খেলেছে তরুণ খেলোয়াড়দের কয়েকজন। এ বিষয়টি আমাদের আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। তারা যদি ভালো ফর্ম দেখাতে পারে তা হলে প্রথম ম্যাচেই জয় আসতে পারে আমাদের। আর সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক এবং মোস্তাফিজ তো আছেই। তারা চাপের মুখে পারফর্ম করে দেখিয়েছে আগেও।’
তবে মাশরাফি যাই বলুক পুরো দস্তুর রাজনীতিবিদ না হয়েও মাশরাফি নিজ এলাকায় সাংসদ হিসেবে যে কাজ করেছেন ইতিমধ্যে তা বেশ প্রশংসনীয় বলেই বলছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
Leave a reply