ছাত্রলীগের নবগঠিত ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকা বিতর্কিত নেতাদের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করা হলো। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই পূর্বক উক্ত পদসমূহ পূরণ করা হবে বলে।
এর আগে সোমবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকা বিতর্কিতদের বাদ না দিয়েই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে ছাত্রলীগ। অথচ ১৫ মে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনটির নতুন কমিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছিল। তখন অপরাধী ও বিতর্কিতদের কমিটি থেকে বাদ দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ১৩ মে সম্মেলনের এক বছর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই আন্দোলনে নামেন সর্বশেষ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ ও অবস্থানে থাকা অর্ধশত নেতা। যারা এই কমিটি থেকে বাদ পড়েন ও প্রত্যাশিত পদবঞ্চিত হন।
পদবঞ্চিতরা ১৬ মে বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মে জড়িত এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও রেওয়াজ পরিপন্থী উপায়ে পদপ্রাপ্ত বিতর্কিত ৯৯ নেতার নাম প্রকাশ করেন। দুই দফায় ক্যান্টিন ও টিএসসিতে কয়েক দফায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এসব নিয়ে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছলে ১৯মে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সিনিয়র চার নেতার হস্তক্ষেপে আন্দোলন স্থগিত করে পদবঞ্চিতরা।
পদবঞ্চিতদের এমন আন্দোলনের মুখে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যেই ১৬ জনের নাম বলা হয়েছে, তাদের ৮ জন নিজেদের পক্ষে দালিলিক তথ্য-প্রমাণ দিয়েছেন যে তাঁরা নির্দোষ। এদের বাইরে কয়েকজনের ব্যাপারে আপত্তি এসেছে। সব মিলিয়ে ১৯ জনের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, তাদের ব্যাপারে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন আছে। সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি মঙ্গলবার এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বুধ অথবা বৃহস্পতিবার ঘোষণা হবে বলেও জানান তিনি।
এ দিকে, গত রবিবার দিবাগত রাত একটা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশ। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানে রয়েছেন পদ বঞ্চিতরা। ‘বিতর্কিতদের’ বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন পদ বঞ্চিত অংশের মুখপাত্র ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন।
যমুনা অনলাইন: আরএস
Leave a reply