জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল। এ সময় অর্থমন্ত্রী কিছু পণ্যের দাম বাড়ানো ও কিছু পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করেন। বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের ব্যবহার কমাতে ও দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
দামবাড়ার পণ্যে ও সেবা সমূহ
১. যাত্রাবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স ও স্কুলবাস ব্যাতীত অন্যান্য গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদ ইত্যাদি গ্রহণ ও নবায়নকালে পরিশোধিত ফি এর ওপর ১০ শতাংশ সসম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
২. চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টারের ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে।
৩. মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ডের ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪. এবারের বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার এক প্যাকেটের দাম ৩৭ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ, মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ৬৩ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ একইসাথে উচ্চস্তরের ১০ শলাকার দাম ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ি ২৫ শলাকার প্যাকেট ১৪ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে একই সাথে তার উপর ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ফিল্টার সংযুক্ত বিডির ২০ শলাকার প্যাকেট ১৭ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এবারের বাজেটে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা ও ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
৫. আইসক্রিমের ওপর ৫ শতাংশ কর আরোপ।
এছাড়া অপটিক্যাল ফাইবার কেবল, আমদানিকৃত মোটরসাইকেল, এয়ারকন্ডিশনার, মোবাইল ফোন, আমদানিকৃত গুড়ো দুধ ও চিনি, আমদানিকৃত মধু ও ওলিভ ওয়েল দাম বাড়ছে।
Leave a reply