পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর অবশেষে ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকার শাহবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি নুসরাত হত্যার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার আসামি।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সর্দার বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে শাহবাগ থানা পুলিশ হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রফতার করেছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
ওসি মোয়াজ্জেম নুসরাতের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারপর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যারিস্টার সাইয়েদুল হক সুমন। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তাকে গ্রেফতার না করায় আজ ১৬ জুন পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন এই আইনজীবি। বলেছিলেন, আজকের মধ্যে গ্রেফতার না হলে পুলিশের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট করবেন। তবে তা আর করতে হয় নি।
ওসি মোয়াজ্জেমের গ্রেফতারের পর ব্যরিস্টার সাইয়েদুল হক সুমন এটিকে ন্যয় বিচার নিশ্চিত হওয়ার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে অবিহিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করেতে বিলম্ব হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরণের শঙ্কা তৈরী হয়েছিল। অবশেষে তা দূর হয়েছে; এখন বিচার হবে।
সারা দেশের ওসিদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সারা দেশের ৪৮০ টি থানার ওসিরা সতর্ক হয়ে যান ভিকটিম নারীদের ক্ষেত্রে। এসব নারীদের জন্য ওসিদের রুম যাতে সবচেয়ে নিরাপদ হয়। ওসিদের রুম যতো নিরাপদ হবে নুসরাতের আত্না ততো বেশী শান্তি পাবে। নিরাপদ যদি না হয় তাহলে সবার পরিণতি মোয়াজ্জেমের মতো হবে তা আজকে প্রমাণিত।
এর আগে, গত ১৭ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। ২৭ মে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। এরপরও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তিনি আত্মসমর্পণও করেননি।
Leave a reply