ভারতে চলছে ইতিহাসের দীর্ঘতম দাবদাহ। মৃতের সংখ্যা ৩শ’ পেরিয়েছে।
পানিশূণ্য চেন্নাই। বিহারে নির্মাণকাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তীব্র গরমের জন্য গয়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। গয়া ও পাটনাতে ক’দিন ধরে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির ওপরে।
হিটস্ট্রোকে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে গয়া, আওরঙ্গাবাদ, আর নদীয়াতে। এছাড়া মুজাফফরপুরে মস্তিষ্কে প্রদাহে প্রাণ গেছে শতাধিক শিশুর। আক্রান্ত আরও ৩শ’।
চলতি গ্রীষ্মে ৩২ বার দাবদাহের কবলে পড়েছে ভারত। ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এক মাসের বেশি সময় ধরে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ রাজস্থান, উত্তর ও মধ্য প্রদেশসহ দেশটির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের জনজীবন। বৃষ্টি বিলম্বিত হওয়ায় গরম আরও বাড়বে বলে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
২০১৫ সালে ভয়াবহ গরমে ভারতে প্রাণ যায় আড়াই হাজার মানুষের।
সাধারণ জনগণ বলছে, আজকের তীব্র পানির সংকট বিগত ৩০/৪০ বছর ধরে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া কুপরামর্শের ফল। বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব তো আছেই; তার ওপর এসব পরামর্শ শুনে ভূগর্ভ পানিশূণ্য করে ফেলা হয়েছে, ভূপৃষ্ঠের আর্দ্রতা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে, নদীর গতিপথ বদলে দেয়া হয়েছে।
Leave a reply