বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সময়ের সেরা আবিষ্কার সাইফউদ্দিন। ক্ষুরধার বোলিংয়ে ব্রেক থ্রু এনে দিচ্ছেন তিনি। ব্যাট হাতেও মাঝেমধ্যে তাণ্ডব চালাতে দেখা যায় তাকে।
এ পর্যন্ত ১৭ ওডিআই ম্যাচ খেলে একটি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি। এমন একজন অলরাউন্ডারের অভাব বাংলাদেশ দলে ছিল সবসময়। আর সে অভাব অনেকটাই পূরণে সক্ষম হয়েছেন সাইফউদ্দিন।
চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বল হাতে ৯ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি। সাইফউদ্দিনের এমন পারফরম্যান্সে বেশ উচ্ছ্বসিত সাকিব-মাশরাফি।
নিয়মিত ফর্ম ধরে রেখেই সিনিয়রদের ডিঙিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের একাদশে থিতু হয়েছেন সাইফউদ্দিন।
গত বছরের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন সাইফ। ফর্ম ধরে রাখেন নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েও। সেখানেও চমৎকার বোলিং করে বেশ সুনাম অর্জন করেন।
এর পর আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টেও বল হাতে উজ্জ্বল ও সপ্রতিভ ছিলেন তিনি।
অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের এমন পারফরম্যান্স মাঠে ও টিভিতে দেশবাসী উপভোগ করলেও তা ঠিকমতো দেখা হয়ে ওঠেনি সাইফউদ্দিনের মায়ের।
ছেলের খেলা দেখেন না এই অলরাউন্ডারের মা। তিনি নিজেই জানালেন সে কথা।
গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইফউদ্দিনের মা জানান, ‘ছেলের খেলা দেখতে পারি না আমি। বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসি, কিন্তু সাইফ বোলিংয়ে বা ব্যাটিংয়ে এলে আমি চলে যাই। ওর খেলা দেখতে পারি না।
দুশ্চিন্তা ও চাপকেই এর কারণ হিসেবে জানান তিনি।
সাইফউদ্দিনের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার সুখস্মৃতিচারণ করেন তার মা।
তিনি বলেন, জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার সুখবর সর্বপ্রথম ফোন করে সে আমাকে জানিয়েছিল।
ছেলের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্য সব সদস্যের কথাও জানান সাইফউদ্দিনের মা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব ক্রিকেটার আমার সন্তানের মতো। সবাই আমার চোখে একেকজন সাইফউদ্দিন। নামাজ শেষে আমি সাইফউদ্দিনের জন্য যেমন দোয়া করি, তেমনি অন্যদের জন্যও দোয়া করি। আমি চাই মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ এরা সবাই যেন ভালো খেলে আর দেশের জন্য জয় আনে।’
Leave a reply