ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ১৬ রান। সহজ না, তবে আশার প্রদীপ ভালোভাবেই জ্বলছিল আফগানদের। কারণ ক্রিজে ছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী। তিনি তখন দারুণ সেট, ৩ বলেই হয়ে যেতে পারে দফারফা! মোহাম্মদ শামির প্রথম বল সীমানা ছাড়া করে সমীকরণটা আরও সহজ করে তুললেন নবী। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেয়ার সুযোগ পেয়েও নিলেন না। কারণ, অপরপ্রান্তে টেলএন্ডার। বাউন্ডারি হাঁকিয়েই ভারতের বিপক্ষে আকাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নেবেন- এমন প্রত্যয়ীই মনে হচ্ছিল নবীকে। কিন্তু নবী আর দফারফা করার সুযোগ পেলেন না। বরং হ্যাটট্রিক করে ম্যাচের ইতি ঘটালেন শামি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথবারের মতো মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে নিজেকে দারুণভাবে প্রমাণ করলেন এই ভারতীয় পেসার।
যে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে সেটিই কিনা দারুণ জমে উঠলো। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছে ভারত। বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপের পাশাপাশি বুমরা-পান্ডিয়া-ভুবি-চাহালদের নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং অ্যাটাক। তাতে, একাদশে সুযোগই মিলছিল না পেসার মোহাম্মদ শামির। শনিবার, আফগানিস্তানের বিপক্ষে চোটের কারণে নামতে পারেননি ভুবনেশ্বর কুমার। তাতেই সুযোগ মেলে শামির। আর সেটিই দারুণভাবে কাজে লাগালেন এই স্পিডস্টার। ক্রমশ নাগালের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে জেতালেন দলকে।
শেষ ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে মরিয়া নবীকে পান্ডিয়ার তালুবন্দি করালেন। পরের বলেই ভেঙে দিলেন আফতাব আলমের স্ট্যাপ। এতটুকুতেই থামলে চলতো। কিন্তু শামি থামলেন না। পরের বলে আবার মুজিবের স্ট্যাম্প উপড়ে দিয়ে করলেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক!
শামির হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত হয়ে সাউদাম্পটনে ১১ রানে হেরেছে আফগানরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের ৮ উইকেটে ২২৪’র জবাবে, ২১৩ রানে থামে আফগানদের ইনিংস। ৯.৫ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন শামি। যদিও বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ৩ বলের ব্যবধানে রহমত ও হাশমতউল্লাহ শহীদিকে তুলে নেওয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন আরেক পেসার যশপ্রীত বুমরা।
তবে, শামির হ্যাটট্রিক আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ভারতের বোলিং গভীরতা। এমন বোলারকেও কিনা বসে থাকতে হয়!
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply