পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
বর্তমানে তার নাম তানজিনা বেগম। অথচ চাকরিতে যোগদানের সময় তার নাম ছিল তাছলিমা খাতুন। দীর্ঘ ৩১বছর ধরে এভাবেই নাম পরিবর্তন করে ভূয়া সনদ দিয়ে দিব্বি চাকরি করে আসছেন তিনি। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মহিলা বিষয়ক প্রশিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন।
এব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত কন্ঠে বলেন ” সনদ দেখতে চাইতে সাংবাদিকরা কে? এটা অফিস বুজবে।”।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি মহিলা বিষয়ক প্রশিক্ষিকা পদে চাকরির আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলো না তানজিনা বেগমের। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া সনদ এস এস সি সনদপত্র নাম পরিবর্তন করে অন্য নামে চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আনসার ও ভিডিপির মহা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২/১১/১৯৮৮ সালে তানজিনা বেগম পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা আনসার ও ভিডিপির মহিলা বিষয়ক প্রশিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। প্রথম যোগদান পত্রের নাম তাছলিমা খাতুন হিসেবে উল্লেখ করেন। তার শিক্ষা সনদে ১/১/১৯৭৪ খ্রীঃ জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়। শিক্ষা সনদ অনুযায়ী দেখা যায় চাকরিতে যোগদানের সময় তার বয়স ১৪ বছর ১০ মাস। সেই তাসলিমা নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে তানজিনা বেগম নামে দশমিনা উপজেলায় চাকরি করছেন।
জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় তার ব্যক্তিগত ফাইলে দেখা যায়, চাকরির প্রথম নিয়োগপত্রে ও প্রশিক্ষণ সনদে তাসলিমা নাম রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, চোরের মার বড় গলা। তানজিনা নামে যে শিক্ষা সনদ দাখিল করেছে তা জেলার বিভিন্ন উপজেলার কর্মরত প্রশিক্ষিকার নিকট কথা বলে জানা যায় এটি তার নিজস্ব শিক্ষা সনদ নয়। তিনি আরও জানান, চাকরিতে ভর্তির সময় যে শিক্ষা সনদ প্রদান করেছিল তার সন্ধান পাওয়া যায় নাই সে ৮৮ সাল থেকে জেলার বাউফল, গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দশমিনা উপজেলায় কর্মরত মহিলা বিষয়ক প্রশিক্ষিকা তাছলিমা খাতুন মুঠোফোনেে জানান, আমার সনদ ভুয়া নাকি সঠিক এটি সাংবাদিকের কি? এটি অফিস বুঝবে। এবিষয়ে জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ডার মোল্লা আবু সাঈদ জানান, আমি নতুন জয়েন্ট করছি। এবিষয়ে লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
Leave a reply