ওয়াশিংটন-তেহরান উত্তেজনার মধ্যে এবার ইরানের পক্ষ নিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেছেন, ওমান সাগরে দুই তেলবাহী ট্যাঙ্কারে হামলায় তেহরানকে দায়ী করার মতো পরিষ্কার, বৈজ্ঞানিক ও সন্তোষজনক কোনো প্রমাণ নেই।
ওই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ইরানকেই দায়ী করে আসছে। কিন্তু তাদের বক্তব্যের বিপরীত অবস্থান জানাল আমিরাত। ওয়াশিংটন ও রিয়াদের দাবি নাকচ করে ওই হামলাকে ‘সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড’ বলে মন্তব্য করেছে ইরান। চলতি মাসে ওমান উপসাগরে হরমুজ প্রণালির কাছে ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কারে হামলা হয়।
ট্যাঙ্কার দুটির একটি নরওয়ের মালিকানাধীন ফ্রন্ট অলটেয়ার এবং অন্যটি জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কারেজিয়াস। হামলার ঘটনার পরপরই ইরানকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র সৌদি ও যুক্তরাজ্য।
ইরান এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা মানতে নারাজ। ট্রাম্পের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন একটি ভিডিও ফুটেজ আছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড ক্ষতিগ্রস্ত একটি তেলের ট্যাঙ্কারের একপাশ থেকে একটি অবিস্ফোরিত মাইন বা বোমা সরিয়ে নিচ্ছে।
দুটি হামলার জন্যই সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানকেই দায়ী করেছে তবে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। এছাড়া সাম্প্রতিক সময় একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইরান। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
এর মধ্যেই ইরানকে দায়ী না করে মন্তব্য করল আরব আমিরাত। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেন, তার দেশ কোনো দেশকে হামলার জন্য দায়ী করতে পারছে না কারণ যে তদন্ত হয়েছে তাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ উঠে আসেনি।
Leave a reply