বাংলাদেশের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। আজ বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে লর্ডসে এ ম্যাচ শুরু হয়েছে। দুই দলেরই বিশ্বকাপ ম্যাচ শেষ হচ্ছে আজকের ম্যাচের মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশ দলের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেলেও পাকিস্তানের ক্ষ্ণীণ সম্ভাবনা রয়েছে। আজ টাইগারদের যদি ৩১৬ রানের ব্যবধানে হারাতে পারে তবেই সেমিফাইনালের টিকিট পাবে পাকিস্তান।
এদিকে, ইনজুরি কাটিয়ে বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান ও রুবেল হোসেন।
বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে জয় ভিন্ন কিছুই ভাবছেন না টাইগার কোচ স্টিভ রোডস। একই সঙ্গে নিজের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নামবেন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, যদিও ম্যাচের আগের দিনের অনুশীলনে ছিলেননা তিনি।
এটা যে নিজের শেষ বিশ্বকাপ তা আগে জানিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সে হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে তার অবসর নিয়ে বারবার প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে স্টিভ রোডসকে। এ দিন সংবাদ সম্মেলনে আসেননি মাশরাফী গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্ন সামলান এই ব্রিটিশ। শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে পাওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নে দৃষ্টির সামনে স্টিভ রোডসের।
বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস বলেন, দেখুন শ্রীলঙ্কায় মাশরাফীকে না পেলেও আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। তার বিদায় বিশ্বকাপের পরই হোক অথবা এক বছর পরেই হোক এক সময় এটি মেনে নিতে হবেই। সেটা অনেক কঠিন তবে এগিয়ে যেতে হবেই।
অন্যদিকে কাগজে কলমে সেমিফাইনাল দৌঁড়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৩১৬ রানের বিশাল জয়। বাস্তবতা কঠিন হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ শেষ করতে চায় ৯২ এর চ্যাম্পিয়নরা।
এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৬ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যেখানে ৫টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। শেষ চার ম্যাচের মুখোমুখিতে এগিয়ে আছে মাশরাফীর দল।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেট রক্ষক), লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসাইন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (অধিনায়ক) ও মোস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, ইমাম উল হক, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (উইকেট রক্ষক ও অধিনায়ক), ইমাদ ওয়াসিম, সাদাব খান, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির ও শাহীন আফ্রিদি।
Leave a reply