কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার পর ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার দুপুরে টুইটারে চার পাতার চিঠি প্রকাশের পর রাতে হলে গিয়ে ছবি দেখেছেন তিনি। শুক্রবার সকালে পাড়ি দিয়েছেন মুম্বাইয়ের উদ্দেশে।
সেখানে পদত্যাগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, যা বলার কালকের নোটেই বলে দিয়েছি। আমার লড়াই জারি থাকবে, আরও জোরদার হবে। যেভাবে পাঁচ বছর লড়েছি, তার থেকেও ১০ গুণ বেশি হবে।
এদিকে এক টুইটবার্তায় রাহুলকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রিয়াংকা বলেন, তুমি যা কর, সেটি করার সাহস খুব কম লোকেরই রয়েছে। তোমার সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাহুলের পর কে হবেন সভাপতি এ নিয়েই শোরগোল চলছে দলের ভেতর। দলের কিছু শীর্ষ নেতা শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীর কাছে যান পরবর্তী সভাপতি বাছাই নিয়ে তার পরামর্শ নিতে।
কিন্তু সোনিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, অস্থায়ী বা স্থায়ী সভাপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিনি কোনো রকম হস্তক্ষেপ করবেন না। তিনি কোনো নাম প্রস্তাব করলে ফের অভিযোগ উঠতে পারে, গান্ধী পরিবার কোনো কাঠপুতুলকে বসাচ্ছে।
এছাড়া রাহুল গান্ধীও আগে বলেছেন- সভাপতি বাছাইয়ে তিনি নাক গলাবেন না।
কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেন, দলে যখনই কোনো সংকট তৈরি হয়েছে, গান্ধী পরিবারই এর সমাধান করেছে। নরসিংহ রাও ও সীতারাম কেশরীর সাত বছর বাদ দিলে গত চার দশকে গান্ধী পরিবারের সদস্যই সভাপতি থেকেছেন। ফলে এই সংকট আমাদের কাছেও অভিনব।
সভাপতি পদে এখনও মল্লিকার্জুন খড়েগর, সুশীল কুমার শিন্ডের মতো দলিত নেতার নামই ঘুরছে। লোকসভা সংসদ সদস্যদের কাছে খড়েগর পাল্লাই ভারী। কেউ কেউ ওবিসি নেতা অশোক গহলৌতের কথাও ভাবছেন। কুমারী শৈলজা, মুকুল ওয়াসনিকের নামও উঠছে। আবার ড. মনমোহন সিংহকে সভাপতি করে, কয়েকজন কার্যকরী সভাপতি করারও প্রস্তাব এসেছে।
বুধবারে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হতে পারে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভাপতি ইস্তফা দিলে প্রবীণতম সাধারণ সম্পাদক অস্থায়ী সভাপতি হন। আর তেমন হলে বৃহস্পতিবার থেকেই মোতিলাল ভোরার নাম উঠে এসেছে। কিন্তু ভোরা শুক্রবার বলেন, আমার কাছে কোনো খরব আসেনি।
কংগ্রেসের নেতাদের মতে, রাহুলের ইস্তফা মঞ্জুর বা খারিজের অধিকার ওয়ার্কিং কমিটির। সে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সভাপতি রাহুলই। সূত্র: আনন্দবাজার।
Leave a reply