টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।
সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুরসহ ৫ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুরের সড়ক যোগাযোগ। দুর্ভোগে পানিবন্দি মানুষ।
এদিকে, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানিও। লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি প্রায় ২ হাজার পরিবার। ফেনীতে মুহুরী নদীর পানি কমায় ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কংস ও সোমেশ্বরীর পানি বেড়ে নেত্রকোণায় পানিবন্দি অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বাড়ায় বান্দরবান সদর ও লামায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হাজারো পরিবার। বাজালিয়া এলাকায় সড়কে পানি ওঠায় বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। চেঙ্গি ও মাইনী নদীর পানি কমায় খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে, দীঘিনালা-লংগদু সড়ক যোগাযোগ এখনও বন্ধ রয়েছে।
Leave a reply