ছেলেধরা সন্দেহে ১১ জেলায় গণপিটুনি

|

প্রশাসনের নানা পদক্ষেপের পরও গুজব ছড়িয়ে দেশের ১১ জেলায় মানসিক প্রতিবন্ধীসহ আরও ১৪ জনকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে ঢাকার নবাবগঞ্জে এক নারী ও শ্রমিক, পাবনার ঈশ্বরদীতে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী ও এক ব্যক্তি, রাজশাহীতে এক ব্যক্তি, সিরাজগঞ্জে যুবক, কুড়িগ্রামের উলিপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, মাদারীপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ, পটুয়াখালীর বাউফলে এক ব্যক্তি, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে ও গাজীপুরের শ্রীপুরে ছেলেধরা প্রচার করে স্বামীকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুলিশে সোপর্দ করা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময় গণপিটুনির ঘটনায় কুষ্টিয়া, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, টাঙ্গাইলের কালিহাতী, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও গাজীপুরের শ্রীপুরে ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া রাজধানীর বাড্ডায় পিটিয়ে রেনু হত্যা মামলার মূল আসামি ইব্রাহিম হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শেরপুরের শ্রীবরদীতে রাতে ঘরের বেড়া কেটে দুই শিশুকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্ত। যুগান্তর রিপোর্ট, ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- নবাবগঞ্জ (ঢাকা) : নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাগমারায় মঙ্গলবার সাথী আক্তার ও আনিসুর রহমান নামে দু’জনকে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ গণপিটুনি থেকে উদ্ধার করে আটক করে। সাথীর বাড়ি খুলনা জেলায়।

বর্তমানে ঢাকার আরকে মিশন রোড এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আনিসের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। তিনি কাজের সন্ধানে ঢাকা থেকে এ এলাকায় আসেন।

শ্রীপুর (গাজীপুর) : শ্রীপুরে ছেলেধরা অভিযোগে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নয়নপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনির শিকার শহীদুল ইসলামের বাড়ি শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালায়। এ সময় দুই নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।

তারা হলেন নয়নপুর এলাকার তানিয়া আক্তার ও তার বান্ধবী প্রিয়া। ঘটনার সময় নয়নপুর বাজার এলাকায় ওই দুই নারী শহীদুল ইসলামকে জড়িয়ে ধরে ছেলেধরা বলে চিৎকার শুরু করে।

পরে আশপাশের লোকজন এসে শহীদুল ইসলামকে গণপিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে শহীদুল ইসলাম দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারীরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ওই নারীদের পাকড়াও করে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

ঈশ্বরদী (পাবনা) : ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগরে সোমবার রাতে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে লোকজন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় একই ইউনিয়নের জয়নগর ওয়াপদা গেটের সামনে থেকে স্থানীয় লোকজন মোহাম্মদ লোকমান আলী নামের এক বক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দানিয়ালগাছি গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে।

রাজশাহী : আকার আলী নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়েছে বস্তিবাসী। সোমবার রাতে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানার পদ্মা আবাসিক লেক সংলগ্ন বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে। আকার আলীর বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালি থানায়।

সিরাজগঞ্জ : আলম নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া দারুল কোরআন কওমি মাদ্রাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আলম পৌর এলাকার গয়লা বটতলা গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, পাইকপাড়া গ্রামের মোকলেছুর রহমান, আয়নাল হক ও আবদুল আওয়ালকে আটক করেছে পুলিশ।

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) : উলিপুরে বাবু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার রাতে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউ?নিয়নের বুড়াবুড়ি বাজারে। উলিপুর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন বাবু রংপুর কোতোয়ালি থানার গুয়াতি পাড়ার ছাদেক আলীর ছেলে।

মাদারীপুর : শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ব্রিজঘাটে মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধকে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার দুরুমখালী গ্রামের রশিদ বেপারির ছেলে আবু বেপারি।

বাউফল, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : বাউফলে মালেক ফকির নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের নকুল নায়েবের হাটে এ ঘটনা ঘটে। মালেক ফকির একই ইউনিয়নের অলিপুরা গ্রামের আসমান ফকিরের ছেলে।

কলাপাড়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে (৩২) লোকজন পুলিশে সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : গজারিয়ায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়ায় মঙ্গলবার হাকিম আলী নামে একজনকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাওসার গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।

টাঙ্গাইল, কালিহাতী ও ভূঞাপুর : ভূঞাপুর উপজেলার পলশিয়া হাসেমের ঘাট এলাকায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। তিনি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার চেচুয়া বাজারের আমির উদ্দিনের মেয়ে শিউলি। কালিহাতীতে ছেলেধরা সন্দেহে রোববার মিনু মিয়া নামের এক ভ্যান চালককে গণপিটুনির ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়া ও দৌলতপুর : ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনায় কুষ্টিয়ার দুই থানায় প্রায় ৪৫০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : কেরানীগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ও খোলামোড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) : কমলগঞ্জে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার করা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার পর রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগান এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

বেড়া কেটে শিশু নেয়ার চেষ্টা : শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি জানান, শ্রীবরদীতে ঘরের টিনের বেড়া কেটে দুই শিশুকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা উপজেলার গোশাইপুর ইউনিয়নের বালিয়াচণ্ডি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার শিশু সন্তান সাথী আক্তার ও সিফাতকে ঘর থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে শিশু দুটির বাবা-মার সচেতনতার কারণে তারা রক্ষা পেয়েছে।

গুজব ছড়ানোর অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার : ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ছেলেধরার গুজব ছাড়ানোর অভিযোগে স্কুল প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোমরাদহে ইউনুস আলী হাওলাদারকে চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন মারধর শুরু করেন। এ ঘটনা দেখে আশপাশের লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান শাহর নেতৃত্বে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইউনুস আলী বাদী হয়ে শিক্ষক কামাল হোসেনসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মাকে খুঁজছে ছোট্ট শিশু তুবা : লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, মায়ের কথা জিজ্ঞেস করলেই তাসলিমা তুবা (৪) বলে, তার মা ড্রেস আনতে গিয়েছে। মা আসবে। আবার বলে মা আমাকে ভাত খাইয়ে দেবে। মঙ্গলবার দুপুরে তুবার বিষয়ে জানতে চাইলে তার খালা নাজমুন নাহার নাজমা এসব কথা বলেন।

এদিকে রেনু হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্থানীয়দের উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মায়ের নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে শিশু তুবাও মানববন্ধনে অংশ নেয়। শনিবার ঢাকার উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তুবার মা তাসলিমা বেগম রেনুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

রেনু হত্যা মামলার মূল হোতা গ্রেফতার, রিমান্ডে মুখ খুলছে না আসামিরা : রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার প্রধান আসামি ইব্রাহিম হৃদয়কে মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার রূপসী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেফতারের পর হৃদয় গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে রেনুকে পিটিয়ে হত্যার লোমহর্ষক কাহিনী। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের গেটেই তার সবজির দোকান।

ঘটনার আগমুহূর্তে ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এক নারী তাকে (হৃদয়) এসে তাসলিমা বেগম রেনুকে দেখিয়ে বলেন, এই যে ছেলেধরা-ছেলেধরা। তোরা ধর-ধর-ধর। এরপর হৃদয় এগিয়ে গিয়ে তাকে আটক করে মারধর করে। এ সময় তার সঙ্গে আশপাশের আরও কয়েকজন যুক্ত হয়।

এক পর্যায়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে তাকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ অবস্থায় সেখান থেকে হৃদয় ও তার অন্য সহযোগীরা তাসলিমা বেগম রেনুকে জোর করে বের করে নিয়ে এসে গণপিটুনি দেয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার নাজমুল হাসান ফিরোজের নেতৃত্বে একটি দল মঙ্গলবার রাতে ইব্রাহিম হৃদয়কে নারায়ণগঞ্জের রূপসী এলাকায় তার খালা খালেদার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশকে এসব তথ্য জানায় হৃদয়।

এদিকে রেনু হত্যায় জড়িত চার আসামির প্রথম দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। এদিন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খোলেনি তারা। বাড্ডা থানা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর আবদুর রাজ্জাক যুগান্তরকে বলেন, ঘটনার দিন তাদের ভূমিকা এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা বারবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।

মঙ্গলবার এ মামলায় আরও দুই আসামিকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম আসামিদের রিমান্ডের এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ।

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর আবদুর রাজ্জাক।

সেই কবি কারাগারে : তাহিরপুর ও ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ‘কল্লা কাটা’ শিরোনামে কবিতা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রটানো সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার সেই মাওলানা ও কবি মো. আলী আমজাদ আল আজাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর ধর্মপাশা থানা পুলিশ তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

পুলিশের মাইকিং : ছেলেধরা সন্দেহে মারধর বন্ধে বগুড়া, রাজশাহীর বাঘা, মেহেরপুর, নড়াইল, পটুয়াখালী, মাদারীপুরের কালকিনি, টাঙ্গাইলের সখীপুর, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া, বরিশালের বানারীপাড়া, টাঙ্গাইলের সখীপুর ও মধুপুর জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে সমাবেশ করা হয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply