স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর:
নাটোরের বড়াইগ্রামে ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে কে বা কারা অপহরণ করে গলায় ক্ষুরের আঘাতে কিঞ্চিত জখম করে হাসপাতালের সামনে রেখে গেছে। এ সময় তারা গলা কাটা হয়েছে বলে প্রচারের জন্য ওই শিশুটিকে নির্দেশ দেয়। অন্যথায় সত্যি সত্যি গলা থেকে মাথা আলাদা করার হুমকি দেয়।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মাদ্রাসার ছাত্রের নাম সিহাব হোসেন। উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের রাজাপুর হাফেজিয়ার মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে সিহার। চান্দাই রাজেন্দ্রপুরের আনিছুর রহমানের ছেলে সে।
শিশু সিহাব জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তিনজন লোক সিএনজি অটোরিক্সা থামিয়ে তাকে রাজাপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে জোর করে থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বনপাড়ার কাছাকাছি আসলে তার মুখ ও গলা চেপে ধরে দুর্বৃত্তরা গলায় ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে। এ সময় তারা বলে ‘তোকে মারলাম না। কিন্তু তোর গলা কাটা হয়েছে এটা সবখানে বলে বেড়াবি। অন্যথায় সত্যি সত্যি তোর গলা কেটে মাথা থেকে নামিয়ে দিবো, তোকে মেরে ফেলবো’।
পরক্ষণেই সিহাবকে দুর্বৃত্তরা পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের সামনে নামিয়ে দেয়। সিহাব এসময় নিজের গলা চেপে ধরে একাই হাসপাতাল গেটে গেলে কতর্ব্যরত কর্মচারীরা তাকে চিকিৎসা দেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, গলা কিঞ্চিত কেটে দেয়া হয়েছে। কোনো সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গলা কাটা প্রচার করার উদ্দেশ্যে ও এর ফলে দেশে অরাজকতা তৈরি করতে একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারই অংশ হিসেবে ওই চক্রের কয়েকজন সদস্য এ কাজ করেছে। তিনি এসব বিষয়ে জনসাধারণকে সজাগ থাকতে পরামর্শ প্রদান করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস জানান, এটা নিছক গলাকাটা প্রচারণা চালানোর অপচেষ্টা। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a reply