মশার ওষুধের কার্যকারিতার পরীক্ষা এখন কেনো, প্রশ্ন হাইকোর্টের

|

সিটি করপোরেশন মশা নিধনে কেন কার্যকরী ওষুধ ছিটাতে পারছে না সে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। ওষুধ কার্যকারী কিনা সে পরীক্ষা আগে কেন করা হয়নি সে প্রশ্ন তুলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত।

আদালতের তলবে সকালে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর বেঞ্চে হাজির হন ঢাকার দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এসময় ডেঙ্গু নিধনে দুই সিটির কার্যবিবরণী হাইকোর্টে দাখিল করেন তারা। দক্ষিণ সিটিতে মশক নিধনে কর্মী সংখ্যা ৪২৯ জন বলে জানান এর প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি.জেনারেল ডা. মো: শরীফ আহমেদ। মশার ওষুধ নিয়ে গবেষণার জন্য সিটি করপোরেশনের কোনো ল্যাব নেই বলেও জানান তারা।

আদালত বলেন, দিনের পর দিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে এটি মহামারী আকার ধারণ করছে। অথচ জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ওষুধ আমদানি করা হচ্ছে না।

এরআগে সকালে মশা নিধনে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়ছে সেই জবাব দিতে হাইকোর্টের তলবে আদালতে হাজির হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি.জেনারেল ডা. মো: শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল মো: মোমিনুর রহমান মামুন।

গত সোমবার দুই সিটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় । সে সময় আদালত বলে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ব্যর্থ। সেদিন ডেঙ্গু বিষয়ে একটি স্বপ্রণোদিত রুল শুনানিতে আদালতে মশা নিধন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিবেদন জমা দেয় দুই সিটি কর্পোরেশন। তবে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপের উল্লেখ না থাকায় হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply