হলের আসন সমস্যা সমাধানসহ কয়েক দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা মধ্যরাতে দুই দফা আন্দোলনে নেমেছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে হলের আসন ও ক্যান্টিন সমস্যা সমাধানসহ হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে হলের সামনে অবস্থান নেন হলের তৃতীয় বর্ষ থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা।
পরে রাত ১১টার দিকে আরেক দফা আন্দোলনে নামে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
প্রথম দফায় আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো- হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য হলের প্রাধ্যক্ষ ও হাউজ টিউটরদেরকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে, শিক্ষার্থীদের হলের কোন সিট বাতিল করা যাবে না।
এছাড়াও রুমে অতিরিক্ত সিট দেয়া যাবে না, কোনো তলায় কিচেন বন্ধ হবে না এবং কিচেনে কোনো ছাত্রী থাকবে না, হলে কোন উপস্থিতি সিস্টেম চালু করা যাবে না, ডাইনিং চালু করতে হবে ছাত্রীদের কথা অনুযায়ী, ডাইনিংয়ের সামগ্রিক কাজ পর্যবেক্ষণ করবে শিক্ষার্থীরা।
ক্যান্টিন মালিক ১৫ দিনের মধ্যে পরিবর্তন করতে হবে এবং ৪৭তম আবর্তনকে (দ্বিতীয় বর্ষ) অতিসত্বর সিটের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
তাদের আন্দোলন চলাকালে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান লিখিত আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।
পরে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা আবারও আসনের দাবিতে অবস্থান নেন।
এ সময় প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা এসে ছাত্রীদের বারবার বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা ১৮ মাস গণরুমে থাকার পরও সিট পাওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন বারবার আশ্বাস দেয়ার পরও কোনো সমাধান করতে পারেনি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন আশ্বাসে আর বিশ্বাস করতে চাই না।
পরে রাত আড়াইটার দিকে আন্দোলন স্থগিত করে ছাত্রীরা করে হলে ফিরে যায়।
এর আগে ৯ জুলাই সিটের দাবিতে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে। তখন হল প্রাধ্যক্ষ এক মাসের মধ্যে সিট সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও প্রাধ্যক্ষ যৌক্তিকভাবে হলের সিট সংকট সমাধান করতে পারেননি।
Leave a reply