নতুন বলে বাংলাদেশের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টকে কার্যকর করাকেই মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বাংলাদেশের নবনিযুক্ত বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট। পাশাপাশি বোলারদের ফিটনেস ও বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করবেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। ক্রিকেটের জনপ্রিয় সাইট ক্রিকইনফোর সাথে সাক্ষাতে এ কথা জানান এই পেস বোলিং কোচ।
২০১৫ সালের পর থেকে নতুন বলে উইকেট তুলে নেয়ার সামর্থ্য টাইগারদের ওয়ানডেতে ভালো করতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। তবে এই বছরে এসে যেন খেই হারিয়েছে পেসাররা। এমনকি দলের অন্যতম পেস ভরসা মোস্তাফিজের বেশির ভাগ উইকেটও ৩০ ওভারের পর, যখন কিনা বল অনেক পুরনো, প্রতিপক্ষের ইনিংসও অনেকটাই মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে।
ল্যাঙ্গাভেল্টের মতে, সব ফরম্যাটেই নতুন বলে সমন্বয় আনাটা জরুরি। লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে দীর্ঘ সময় বল করার অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। এবং ওভারে চার থেকে পাঁচটি বল সঠিক জায়গায় ফেলতে হবে যাতে করে ব্যাটসম্যানদের ভেতরে উদ্বেগ তৈরি করা যায়।
বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশ দেশের মাটিতে বেশি ম্যাচ খেলে, সেখানে পেসারদের ভূমিকা কিছুটা কমই থাকে! কিন্তু, এশিয়ার বাইরের বাস্তবতা ভিন্ন! সেই বাস্তবতা মাথায় রেখে আগামীর ভাবনা ভাবতে চান শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। বলেছেন, আমি দেখেছি বেশিরভাগ সময় দেশের মাটিতে তারা কম পেসার নিয়ে মাঠে নামে। কিন্তু আপনি যখন দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যাবেন, সেখানে আপনাকে তিন বা তার অধিক পেসার খেলাতে হবে।
২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে খুব কাছ থেকে দেখেছেন টাইগার পেইসারদের। বিদেশের মাটিতে তাদের দুরাবস্থা কথা জানেন তিনি। বলেছেন, আমি বাংলাদেশের পেসারদের খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাদের লাইন এবং লেন্থ মেইনটেইন করতে সমস্যা হচ্ছিলো। তাদের এই জায়গাতে উন্নতি করতে হবে, আমি চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
নিজের কোচিং তত্ত্ব কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাকে ভারসাম্য আনতে চান ল্যাঙ্গাভেল্ট। সেক্ষেত্রে, মোস্তাফিজ-তাসকিন-রুবেলদের সাথে কথা বলেই খুঁজে বের করতে চান তাদের সমস্যাগুলো।
যমুনা অনলাইন: এমআর/টিএফ
Leave a reply