স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরিদর্শনে আসবেন তাই একদিনেই পাল্টে গেলো ঢাকা মেডিকেলের চিত্র। একদিন আগেও যেখানে বারান্দায় খোলা অবস্থায় রাখা হয়েছিল শত শত রোগীকে আজ সেখানে টাঙানো হয় মশারি। আর এসব দেখে মন্ত্রী বললেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে! অথচ বাস্তবতা ভিন্ন। সারাদেশে, ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতরের দাবি, ঢাকা থেকে রোগীরা বিভিন্ন জেলায় চলে যাওয়ায় সারা দেশে ডেঙ্গুর বিস্তার হয়েছে।
শুক্রবারও সরেজমিন গিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে ও মেঝেতে শত শত ডেঙ্গু রোগী দেখা। ব্যালকনি, করিডোর, সিড়িঘর, ওয়ার্ডের রুমে রুমে মশারি ছাড়াই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। ২৪ ঘণ্টা পর শনিবার ঠিক সেই স্থান পরিদর্শন করতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক। কিন্তু, ওয়ার্ডগুলোর অবস্থা একদিন পর অনেকটাই পাল্টে গেছে। রোগীদের জন্য তড়িঘড়ি করে টাঙানো হয়েছে মশারি।
ডেঙ্গু নিয়ে সাধারণ মানুষের করুণ অবস্থাসহ হাসপাতালের প্রকৃত চিত্র মন্ত্রীর অজানা থেকে গেলো। তাই পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কণ্ঠেও পুরোনো সুর। বললেন, সারা দেশে নিয়ন্ত্রণে আছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ।
এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে। সেখানে শুরুতে সাংবাদিকদের জানান, সারাদেশে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ১৪। অথচ, শুধু ঢাকা মেডিকেলেই মারা গেছে ১১ জন। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ২। দুই হাসপাতালের দেয়া তথ্যে মৃতের সংখ্যা ১৩। তাহলে, সলিমুল্লাহ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলসহ রাজধানী ও সারাদেশের সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে যারা মারা গেলেন তাদের তথ্য কোথায়?
জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও তথ্য নিবো। সবকিছু জেনে পরে আপনাদের লেটেস্ট তথ্য জানানো হবে।
সবকিছু মিলে হাসপাতালগুলোতে নাকাল অবস্থা ডেঙ্গু নিয়ে। ডেঙ্গু সেল খুলে, মেডিসিন বিভাগের সব ওয়ার্ডে রেখেও জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। এনিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের ব্যাখ্যা, অনেক রোগী আতঙ্কের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে যারা ঘরেই চিকিৎসনা নিতে পারতেন। অনেকে মনে করছে এখানের হাসপাতালগুলোতে জায়গা নেই। সেজন্য তারা ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে চলে যাচ্ছে।
Leave a reply