সংবিধানের ৩৭০ ধারা মধ্য দিয়ে বিভক্ত করা হয় জম্মু-কাশ্মিরকে। ৩১ অক্টোবর থেকে এ রাজ্যটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হবে। রাজ্য দুইটি পরিচিতি পাবে জম্মু ও কাশ্মির এবং লাদাখ নামে।
কাশ্মির বিভক্তির পর সেখানে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। রাস্তায় একশ গজ পর পর রয়েছে সেনা চৌকি। রাজ্যের ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওর্য়াক বন্ধ রাখা হয়েছে। মানুষও ভয়ে ঘর হতে বের হচ্ছে না। নিস্তব্ধতা নেমে এসেছে পুরো রাজ্যজুড়ে।
এদিকে লাকসভায় বিল পাশের তিনদিন পর এতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এখন আলোচনা চলছে রাজ্য দুইটিতে উপরাজ্যপাল কে হবেন। জোরেশোরে আলোচনা চলছে দুইটি নাম নিয়ে।
প্রথম নামটি হল প্রাক্তন আইপিএস অফিসার বিজয় কুমার। তামিলনাড়ুর ১৯৭৫ ব্যাচের ওই আমলা ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের পরামর্শদাতা হিসেবে আছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিএসএফ-এর আইজি হিসাবে কাশ্মীরে ছিলেন বিজয়। জঙ্গি দমনে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের লক্ষ্যেই বিজয়কে রাজ্যপালের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় নামটি ১৯৭৬ সালের কেরালা ক্যাডারের আইপিএস দীনেশ্বর শর্মার। ২০১৭ সালে জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যস্থের দায়িত্ব পান তিনি। শান্তি ফেরাতে রাজনৈতিক দলগুলি ছাড়া হুরিয়তের সঙ্গেও কথার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি। তবে পিডিপি সরকার থেকে বিজেপি সমর্থন তুলে নিতেই তার দায়িত্বও কার্যত শেষ হয়ে যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, আগামী কয়েক মাস যে কাশ্মিরে অস্থিরতা বজায় থাকবে, তা স্পষ্ট। এখনই ভোট হচ্ছে না। ফলে শাসন ক্ষমতা গোটাটাই থাকবে উপরাজ্যপালের হাতে।
Leave a reply