ইন্টারনেটের সংস্পর্শে এসেছেন কিন্তু এই বিখ্যাত হাসির ‘মিম’টি দেখেননি তেমন মানুষ সম্ভবত খুবই বিরল! সোশাল মিডিয়ায় কারো লেখা পোস্ট ভাল না লাগলে বা সেটিকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিতে কিম্বা হালকা রসিকতা করতে এই ছবিটির ব্যবহার প্রতিদিন হয়ে থাকে। কত মিলিয়ন বা কত বিলিয়ন বার মিমটি ইন্টারনেটে ব্যবহৃত হয়েছে তার কোনো হিসেব নেই। কিন্তু এই সুন্দর হাসিদাতা মানুষটিকে অনেকেই চেনেন না। এমনকি অনেকেই মনে করে থাকেন চেহারাটি কাল্পনিক কারো হয়তো! বাস্তবে এমন কোনো মানুষই হয়তো কখনো ছিলেন না।
কিন্তু বাস্তবে এটি একজন সত্যিকার মানুষেরই ছবি। কোনো এডিট করা বা কল্পনা থেকে নেয়া চেহারা নয়। ছবির মানুষটির নাম ইয়াও মিং। তিনি চীনের সাবেক বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড়।
কিন্তু তার ছবি কীভাবে ভাইরাল হলো?
এ নিয়ে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। তবে ইন্টারনেটে দুয়েকটি ওয়েবসাইটে এ নিয়ে একটি ঘটনা পাওয়া যায়। সেই ঘটনায় বলা হয়, ২০০৯ সালে একটা বাস্কেটবল ম্যাচের পরে সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইয়াও মিং ও তার ম্যাচ পার্টনার। সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একবার মিং-এর পার্টনার মজা করে জানান, খেলা শেষে দর্শকাসন থেকে তাকে বিয়ার খাওয়ার আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু চারিদিকে তখন শত-শত ক্যামেরা তাদের ঘিরে রেখেছিল তাই সেই সাধ মেটানো সম্ভব হয়নি। একথা বলার পর মিং সহ উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন। হাসির সময় যেই অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে মিং-এর মুখে সেটিই এই মিমে দেখা যাচ্ছে।
পরের বছর ২০১০ সালে ‘রেজ কমিক্স’ ক্যাম্পেনের মাধ্যমে ‘ডাম্ব বিচ’ নামে মিং-এর এই অভিব্যক্তির ছবি দিয়ে তৈরি মিমটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
তার মিম যে দুনিয়াজুড়ে জনপ্রিয় তা তিনি নিজেও জানেন। একবার নিজের হাসিমুখের মিম যুক্ত টি-শার্ট পরে ক্যামেরার সামনে সেই হাসিযুক্ত চেহারায় পোজ দিতেও দেখা যায় তাকে।
৩৯ বছর বয়সী সাড়ে সাত ফুট উচ্চতার ইয়াং মিং চীনের সাংহাই প্রদেশের বাসিন্দা। মাত্র এক বছর বয়সেই একটি কানের শ্রবণশক্তি হারিয়েছিলেন মিং। ছবির মতই বাস্তবেও বেশ রসিক মানুষ মিং।
২০১৬ সালে সাধারণ মানুষের সাথে মিং এর শারিরীক দৈর্ঘ্যর তুলনা করে বিজনেস ইনসাইডার বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করে। সেখান থেকে কিছু ছবি তুলে দেয়া হল–
Leave a reply