করোনার প্রভাবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট শিডিউলে তালগোল পাকিয়ে গেছে। ফলে বাতিল হয়েছে অন্তত ৭৮টি ফ্লাইট। বিমানবন্দরের মাত্র দুই স্ক্যানারে যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষায় তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ লাইন।
এর আগে ইতালি ও স্পেন থেকে আসা দুই যাত্রীর শ্বাসকষ্ট থাকায় তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিমানবন্দরে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. জহিরুল ইসলাম বাবু। তিনি বলেন, একইসাথে কুয়েতের পর কাতারও যোগাযোগ বন্ধ করেছে ঢাকার সাথে। ফলে কাতারগামী যাত্রীদের প্রস্তুতি নিয়েও বাড়ি ফেরেন।
বাবু জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি এমিরেটস ও ৩ মার্চ কাতার এয়ারে ইতালি থেকে দেশে ফেরেন আক্রান্ত দু’জন। তখন বিমানবন্দরের পরীক্ষায় কোভিড নাইন্টিনের লক্ষণ মেলেনি।
ড. জহিরুল ইসলাম বাবু আরও জানান, ভাইরাসটি প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সুপ্ত থাকতে পারে। তাই যাত্রীদের আরও অনেক তথ্য নেয়া হচ্ছে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান জানান, সোমবার সকালে ইতালি ও স্পেন থেকে আসা দুই যাত্রীর শ্বাসকষ্ট দেখা যাওয়ায় প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে তাদের কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠিয়েছি। একইসাথে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্ক্যানারের সংখ্যা বাড়ানোর কথা্ জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার থেকে কাতারের সাথে ফ্লাইট বন্ধ করেছে বিমান। ১০টি রুটে চলা ১৪২টির মধ্যে ৭৪টি ফ্লাইট চলাচল করছে। ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ইরান, থাইল্যান্ড আর সিঙ্গাপুর থেকে ফেরাদের ব্যাপারে সতর্ক আছে কর্তৃপক্ষ।
Leave a reply