লিবিয়ায় মানবপাচার চক্রের অন্যতম হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিহতদের পরিবারের দায়ের করা মামলায় ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে রাজধানীর শাহজাদপুরের খিলবাড়িরটেক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় চক্রের অন্যতম সদস্য কামাল হোসেনকে। আর মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় জুলহাস ও রীনা বেগমকে।
তিনজনই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মানবপাচার করে আসছিল বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
দুপুরে র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৮ মে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। বাড়ানো হয় গোয়েন্দা তৎপরতা। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় কামাল হোসেনকে। পরে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে মানব পাচার সিন্ডিকেটের অন্যতম এই সদস্য এখন পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষকে পাচার করেছেন বলে জানায় র্যাব। মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মানব পাচার ও পরে চাপে ফেলে অর্থ আদায় করতো এই সিন্ডিকেটটি।
রাজৈর থানার ওসি শওকত জাহান জানান, মানব পাচারের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। দুটি মামলাতেই জুলহাসকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলায় সাত জন ও অপর মামলায় চার জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে জুলহাস করোনা পজেটিভ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে মাদারীপুর সদর হাসাপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় রীনা বেগম নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a reply