করোনার ভ্যাকসিন উদ্ভাবন-উৎপাদন ঘিরে চলছে প্রতিযোগিতা

|

ছবি: সংগৃহীত

লকডাউন-বিধিনিষেধের মাধ্যমে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন-উৎপাদন ঘিরেও চলছে প্রতিযোগিতা। রাশিয়ার দাবি, চলতি বছরই অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে উৎপাদিত হবে ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ। বহির্বিশ্বে ১৭ কোটি ডোজ সরবরাহের ইঙ্গিতও দিয়েছে রুশ বিনিয়োগ বিভাগ- RDIF।

এদিকে, বাজারে আসার আগেই ফাইজার-বায়ো এন টেক-ভালনেভা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো থেকে ৯ কোটি ডোজ কেনার চুক্তি সই করছে ব্রিটিশ সরকার।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে চীন-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে মরিয়া। প্রতিদিনই জানান দিচ্ছে ক্লিনিক্যাল বা হিউম্যান ট্রায়ালের অগ্রগতি।

রাশিয়ার আরডিআইফের পরিচালক কিরিল দিমিত্রিভ বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ৩ আগস্ট শেষ হবে গামালায়া ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফা হিউম্যান ট্রায়াল। পরবর্তী ধাপের জন্য কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন। তখন, রাশিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও চালানো হবে পরীক্ষা। এ বছরই দেশীয় চাহিদা পূরণে ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এছাড়া, বহির্বিশ্বের উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারীদের সাথেও যোগাযোগ রেখেছে মস্কো। অন্যান্য দেশেও দেয়া যাবে ১৭ কোটির মতো ডোজ।

মানবশরীরে পরীক্ষা এবং টিকা প্রস্তুত হওয়ার আগেই লেগেছে ভ্যাকসিন কেনার ধুম। তারই ধারাবাহিকতায় সম্ভাব্য প্রতিষেধকের ৯ কোটি ডোজ ক্রয়ের চুক্তিসই করলো ব্রিটিশ সরকার।

ফাইজারের মুখ্য গবেষক মাইকেল ডলস্টেন বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও এ্যান্টিবডি বাড়াবে ভ্যাকসিনটি। অর্থাৎ, যখন সত্যিকারের কোভিড-১৯ শরীরে সংক্রমণ ঘটানোর চেষ্টা করবে; সে সময় পথিমধ্যেই আটকে ফেলা হবে বিস্তার। জার্মানির বায়ো-এন-টেক ফার্মাসিউটিক্যালসের সাথে আগামী দু’বছর MRNA টিকাটির উন্নয়নে কাজ করবো আমরা। এর মাধ্যমে, সার্স-সিওভি-টু’র পাশাপাশি কোভিড-১৯ ও ঠেকাতে পারবে বিশ্ব।

এর আগে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রোজেনেকা ফার্মাসিউটিক্যালসের পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটির ১০ কোটি ডোজ ক্রয়ের চুক্তিসই করে বরিস জনসন সরকার। ফলে, ভ্যাকসিন বাজারে এলেই যুক্তরাজ্যের হাতে থাকবে কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের অন্তত ২০ কোটি ডোজ।

ইউএইস/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply