হোটেলে রাখার বদলে বিশেষ ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা। তাদের শঙ্কা, আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে স্বজনরা। চিকিৎসক নেতারা বলছেন, একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়া হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে চিকিৎসা সেবায়। আর অধিদপ্তর বলছে, বিকল্প আবাসনের বিষয়ে আলোচনা হবে।
করোনা লড়াইয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ দিয়েছেন ৬৯ জন চিকিৎসক। এ তালিকায় আছেন ১১ জন নার্স ও ৬ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।
সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ডাক্তার মঈনের মৃত্যুর পর সামনে আসে চিকিৎসকদের আবাসন সঙ্কট ইস্যু। ডাক্তার-নার্স-টেকনোজিস্টদের সুরক্ষিত রাখতে হোটেল-মোটেলে রাখতে বিল দিচ্ছিল সরকার। কিন্তু ঈদের সময়ে হোটেলের বিল চিকিৎসকদের পরিশোধ করতে বিজ্ঞপ্তি দেয় কয়েকটি হাসপাতাল।
মন্ত্রণালয়ের এমন বিকল্প চিন্তায় অপ্রস্তুত চিকিৎসকেরা। বিএমএ নেতারা বলছেন, আলোচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরী হবে।
বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন বলেন, আরেকবার চিন্তা করে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, খরচ কমাতে হোটেলের পরিবর্তে সরকারি দপ্তরের আবাসন সুবিধা কাজে লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, কেউ যদি এখানে (স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক নির্ধারিত আবাসন ব্যবস্থা) না থাকতে চায় এবং নিজেদের বাসা বাড়িতে থাকতে চায় থাকতে পারে। অনেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন, এগুলো নিয়ে আমি আমাদের মহাপরিচালক ও মাননীয় সচিবের সাথে কথা বলবো।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার জরুরী সভা ডেকেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বিএমএ।
Leave a reply