গতকাল (২ মে) পদ্মাসেতুর মাওয়াপ্রান্তে ভায়াডাক্টের সর্বশেষ গার্ডার স্থাপনের মধ্য দিয়ে পুরো সেতুর স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ (২ মে) সকালে সিলেট জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান।
মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এ পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৩.২৫ ভাগ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, নদী শাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৫.৫ ভাগ। ওবায়দুল কাদের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন আগামী ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মাসেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এই মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী সবাইকে করোনা মোকাবেলায় সতর্ক হবার পরামর্শ দিয়ে বলেন, মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে আমাদেরকে আরও মনোযোগী হতে হবে। ভ্যাকসিনের জন্য উদ্বেগের কোনো কারণ নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন মানবিক নেত্রী যখন পাশে আছেন তখন এই দুঃসময় একদিন কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক প্রকল্পের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন এই মূহুর্তে অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প হচ্ছে এটি। তাই সড়কটি চারলেনে উন্নীত করার বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন এই প্রকল্পের কাজ ঝুলে থাকলেও সম্প্রতি গতি পেয়েছে এবং ইতোমধ্যেই নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগের লক্ষ্যে এডিবি’র সম্মতিও পাওয়া গেছে। ওবায়দুল কাদের এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সিলেট বিআরটিএ-কে দুর্নীতির অনিয়ম থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দেন।
Leave a reply