কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে ফের বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। ছোট ছোট দলে ঢুকছে তারা। মিয়ানমারে কারামুক্তির পর কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ফের অনুপ্রবেশ করেছে অন্তত শতাধিক রোহিঙ্গা।
সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছে আরও অনেকে। তবে বিজিবি বলছে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল দ্বিগুণ করা হয়েছে।
২০১৭ সালে রাখাইনে সহিংসতা চলাকালীন যেসব রোহিঙ্গা গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেছিলেন। সম্প্রতি কারামুক্ত হয়ে সেসব রোহিঙ্গারাই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারাই জানিয়েছেন এমনটি।
সম্প্রতি মিয়ানমারের জান্তা সরকার ২৩ হাজার বন্দিকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে রয়েছে ছয়শ’ রোহিঙ্গাও। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের একটি অংশ রয়েছে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে। বাকিরা শালবাগান, জাদিমুড়া, উনছিপ্রাং সহ বিভিন্ন ক্যাম্পে তাদের স্বজনদের সাথে রয়েছেন।
গত ২৯ এপ্রিল ৬ জনের একটি দল উনছিপ্রাং সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে অবস্থান নিয়েছেন টেকনাফের জাদিমুড়া ও উনছিপ্রাং ক্যাম্পে। একইভাবে ২ মে এসেছে ৩ জনের অপর একটি দল। তারাও ক্যাম্পে তাদের স্বজনদের সাথে অবস্থান করছেন। এভাবে অন্তত শতাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করেছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ১৬ এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সপ্তাহ খানেক ধরে প্রতিদিনই কিছু কিছু রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে ক্যাম্পগুলোতে ঢুকছে। ২০১৭ সাল থেকেই তারা সেখানে কারাবন্দি ছিল। সম্প্রতি তারা মুক্তি পেয়ে এদেশে থাকা তাদের স্বজনদের কাছে আসার চেষ্টা করছে। টেকনাফের উনছিপ্রাং ও হ্নীলা সীমান্ত দিয়ে নতুন আসা রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করে যাচ্ছে।
বিজিবি সদর দফতরের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান জানান, অনুপ্রবেশের চেষ্টা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল দ্বিগুণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো হচ্ছেও বলে জানান
তিনি। তবে ইতোমধ্যে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
ইউএইচ/
Leave a reply