ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গ্যারেথ সাউথগেটের আজ ‘ডেজা ভ্যু’ না হয়েই যায় না! ১৯৯৬ সালের ইউরোতে ইতালির বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে শট মিস করে বুঝেছিলেন, নিজের পায়ে দেশের স্বপ্ন উড়িয়ে দেয়ার অনুভূতিটা কেমন। আর আজ কোচ হয়ে ফিরে এসেছিলেন অমরত্বের সম্ভাবনার সামনে। ফুটবলকে দেশে ফেরানোর মিশন নিয়ে। কিন্তু ১১৯ মিনিটে কেবল টাইব্রেকারে ভালো করবে এমন দুই খেলোয়াড়কে নামিয়েও বাঁচাতে পারলেন না সমগ্র দেশের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রাশফোর্ড আর সদ্যই সেখানে যোগ দেয়া জ্যাডন স্যাঞ্চো যথাক্রমে ৩য় ও ৪র্থ শট নিতে এসে দু’জনেই করলেন মিস। ইতালির প্রথম শটে বেরার্দি গোল করলেও ২য় শটে পিকফোর্ড আটকে দেন বেলোত্তির শট। তখনও ইংল্যান্ডই এগিয়ে। কারণ প্রথম দুটি শটে ডোনারুমাকে পরাস্ত করার কঠিন কাজটা ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছেন ক্যাপ্টেন কেইন ও হ্যারি ম্যাগুয়ার।
কিন্তু রাশফোর্ড, স্যাঞ্চোর মিস করার সাথে সাথে লক্ষ্যভেদে আর ভুল করেননি ইতালির পরীক্ষিত সৈনিক বোনুচ্চি ও বার্নাদেস্কি।
পঞ্চম শটটি নিতে আসেন আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা পেনাল্টি টেকার জর্জিনিও। তার শট ঠেকিয়ে দিয়ে পিকফোর্ড জাগিয়ে তোলেন পুরো ওয়েম্বলিকে। কিন্তু সেটাও ক্ষণিকেরই জন্য। কারণ ইংল্যান্ডের ৫ম শট নিতে এসে ১৯ বছর বয়সী আর্সেনাল ফরোয়ার্ড বুকায়ো সাকা আটকে যান ডোনারুমার অনুমান আর রিফ্লেক্সের নৈপুণ্যে। এই শটের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়ে যায়, ওয়েম্বলির গ্যালারিতে শিরোপা উৎসবের জন্য বেকহাম, টম ক্রুজ, রাজ পরিবারের সদস্যসহ সকল ব্রিটিশের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না এবারও।
কেইন এগিয়ে গেলেন সাকাকে সান্ত্বনা জানাতে। সাউথগেট তখন ঘুরে ঘুরে তার শিষ্যদের আগলে রাখতে ব্যস্ত। মানচিনির চোখে আনন্দাশ্রু। শিরোপাতে খোদাই করা ‘ইতালি’ নামের দিকেই তার মনোযোগ। তার জন্য দেশবাসী নাইটহুডের মতো কিছুর দাবি করবে না, সেটা তার ভালোই জানা। আর বোনুচ্চি ক্যামেরার সামনে এসে দম্ভের সাথে ঘোষণা করলেন, ইটস গোয়িং টু রোম।
Leave a reply