কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দেশজুড়ে বাহারি নামের বিশাল-বিশাল গরু লালন-পালন করেছেন খামারিরা। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খামারিদের স্বপ্ন ফিকে হতে বসেছে। সামনাসামনি গরু বেচাকেনার সুযোগ কমে যাওয়ায় ও আর্থিক সংকটে বেশিরভাগ ক্রেতার নজরই ছোট গরুর দিকে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আলাদিপুরের গরু ‘বস’। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ২৮ মণের বিশাল গরুটিকে এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য পালন করেছেন খামারি দিদার। তবে চলমান পরিস্থিতিতে বস তার ন্যায্যমূল্য পাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। দিদার বলেন, যেমন আশা করেছিলাম তেমন ক্রেতা আসছে না। যারা আসছেন তারা যে দাম বলছেন তাতে আমার খরচও উঠবে না।
সাতক্ষীরা এলাকার অন্যান্য খামারিদের অবস্থাও ব্যতিক্রম নয়। করোনার কারণে আর্থিক সংকট থাকায়, বেশিরভাগ ক্রেতাই ঝুঁকছেন ছোট গরুর দিকে। তবে জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর বলছে, প্রতি উপজেলাতে অনলাইনেও গরু বিক্রির ব্যবস্থা আছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এরই মাঝে অনলাইনে গরু বিক্রি চলছে। ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বড় গরুগুলোর বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রির চেষ্টা চলছে।
এদিকে, রংপুরের পীরগঞ্জে ২৫ মণের গরু রাজা এবং ২২ মণ ওজনের বাদশাকে নিয়ে বিপাকে আছেন এক খামারি। অনলাইনে গরু বিক্রি করতে তার মতো খামারিরা পড়ছেন নানা বিড়ম্বনায়।অনলাইনে গরু বেচাকেনার জটিলতার কথা স্বীকার করেন রংপুরে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সিরাজুল হক। তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক খামারি আছে যারা অনলাইনে অভ্যস্ত না, আবার ক্রেতারাও অনলাইনকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। এজন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
রংপুরে এ পর্যন্ত দুই লাখের বেশি গরু অনলাইনে তালিকাভুক্ত হলেও, বিক্রয় হয়েছে মাত্র ২০ হাজার।
Leave a reply