পর্যটক ভিসা দেবে সৌদি আরব

|

বিদেশিদের জন্য অতি রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব। কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনে পরিচালিত এই দেশটিও অবশেষে পর্যটক ভিসা দেওয়া ঘোষণা দিয়েছে।

‘নিজ দেশের বাধা নেই এমন সকল নাগরিকদের’ ভ্রমণে ইলেক্ট্রনিক পাস আকারে ভ্রমণ বা পর্যটক ভিসা দেবে সৌদি সরকার।

সৌদি কর্তৃপক্ষ আশা করছে, আধুনিকায়নের উদ্দেশ্যে নেওয়া এই সংস্কার কর্মসূচির (ভ্রমণ ভিসা) ফলে বিশ্বে দেশটির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিতে বেশ অর্থকড়ি যোগ করবে।

উচ্চতায় বুর্জ খলিফাকেও ছাড়িয়ে যাবে নির্মাণাধীন জেদ্দা টা্ওয়ার

দেশটির সরকার হিসাব অনুসারে, আগামী ২০২০ সাল নাগাদ পর্যটন খাত থেকে বিদ্যমান আয়ের অতিরিক্ত ৫৪ বিলিয়ন ডলার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যোগ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ২০৩০ সাল নাগাদ বার্ষিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা তিন কোটিতে পৌঁছবে।

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানে ভিশন ২০৪০ অনুসারে, তেলে ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এ ধরনের আমূল সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে।

জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য মাদা’য়েন সালাহ

সৌদি পর্যটন বিভাগের শীর্ষ কর্তা যুবরাজ সুলতান বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ বলেন, নতুন ভ্রমণ ‍ভিসার খরচ এখনও হিসাব করা হয়নি। কিন্তু এটা যথা সম্ভব কম রাখা হবে। কেননা, ভিসা দেওয়া বাবদ পাওয়া অর্থের তুলনায় সামগ্রিক অর্থনৈতিক লাভে আমরা বিশ্বাসী।

বর্তমানে সৌদি আরব খুব সীমিত সংখ্যক দেশকে ভ্রমণ ভিসা দিয়ে থাকে। কিন্তু এতেও নানা থাকে ধরনের বিধি-নিষেধ- এর মধ্যে রয়েছে নিবন্ধিত কোম্পানির তত্ত্বাবধানে ভ্রমণ ও নির্দিষ্ট হোলেটে অবস্থান করা।

গেল বছরের আগষ্টে ক্রাউন প্রিন্স ৫০টি দ্বীপকে বিলাসবহুল অবকাশ যাপন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন।

যমুনা অনলাইন: এফএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply