ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে পদক জয় সান মারিনোর

|

সান মারিনোর ব্রোঞ্জ মেডালিস্ট আলেসান্দ্রা পেরিল্লির উদযাপন। ছবি: রয়টার্স

বারমুডার পর এবার অলিম্পিকের ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে পদক জিতলো সান মারিনো। মেয়েদের শ্যুটিং ট্র্যাপে ব্রোঞ্জ পদক জিতে এই কীর্তি গড়েছেন আলেসান্দ্রা পেরিল্লি।

মাত্র ৩৪ হাজার জনসংখ্যার ছোট্ট এক দেশ সান মারিনো। দেশটির নাগরিক আলেসান্দ্রা পেরিল্লির দারুণ নিশানাভেদ রীতিমতো ওলটপালট করেছে অলিম্পিকের ইতিহাস। শ্যুটিং ট্র্যাপে পেরিল্লির ব্রোঞ্জ জয় দেশটির ইতিহাসেই জেতা প্রথম অলিম্পিক পদক।

অলিম্পিকের মঞ্চে সান মারিনোর পদচারণা সেই ১৯৬০ সাল থেকে। কিন্তু দেশটির হয়ে পদক জেতা হয়নি কারও। এবার ৬১ বছরের আক্ষেপ ঘুচলো পেরিল্লির হাত ধরে। তাতেই অলিম্পিকের ইতিহাসে সবচেয়ে কম জনসংখ্যা ও ছোট আয়তনের দেশ হিসেবে পদক জয়ের রেকর্ড গড়লো সান মারিনো।

সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দিক থেকে পদক জয়ের রেকর্ডটা হয়েছিল এই আসরেই। বারমুডার হয়ে সেই কীর্তি ছিল ফ্লোরা ডাফির। আর ছোট আয়তনের দেশের পদক জয়ের রেকর্ড ছিল লিচেনস্টেইনের।

টোকিও অলিম্পিকে আসার আগেই পেরেল্লি ছিলেন দেশটির সফল অলিম্পিয়ান। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের একটি ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছিলেন তিনি।

সান মারিনো থেকে এবারের আসরে অংশ নিয়েছেন মাত্র ৫ অ্যাথলেট। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে সেই সংখ্যাটা ৬। তাই অবধারিতভাবে প্রশ্নটা উঠতেই পারে যে, ৩৪ হাজার জনসংখ্যার দেশ সান মারিনো অলিম্পিকে সফল হতে পারলে ১৮ কোটির বাংলাদেশ কেন পারছেনা। এই প্রশ্নের ইতি টানতে পারে সফল পরিকল্পনা। যার ইঙ্গিত আর্চার রোমানা সানা ও দিয়া সিদ্দিকী দিয়েছেন এবারের আসরে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply