ফোনে আড়িপাতা বন্ধে ও ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনাগুলোর তদন্ত চেয়ে রিট হয়েছে হাইকোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী আজ মঙ্গলবার এই রিট আবেদনটি করেছেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হবে কথা রয়েছে।
এই রিট আবেদনে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ২০টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করার পাশাপাশি রিটের পক্ষে সুনির্দিষ্ট চারটি আইনি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে-
১) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০০১ এর ৩০ (চ) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের দায়িত্ব হল নাগরিকের ‘টেলিযোগযোগের একান্ততা গোপনীয়তা রক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু এক্ষেত্রে কমিশন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ২) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘নাগরিকের গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার। কিন্তু কমিশন সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের বিধান প্রতিপালনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ৩) অন্তত ২০টি ঘটনা ফাঁসের তথ্য উপস্থাপন করে কমিশনকে আইনি নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও কমিশন যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কোন জবাব প্রদান করেনি। ৪) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০০১ এর ৭১ ধারা অনুযায়ী আড়িপাতা দণ্ডনীয় অপরাধ। যেখানে দোষী ব্যক্তি দুই বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। অথচ আজ অবধি কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কারও বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করেনি।
তাই ফোনে আড়িপাতা রোধে ও ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনাগুলোর তদন্ত চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এনএনআর/
Leave a reply