কঠোর লকডাউন উঠে গেলেও এখনই খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা। পরিস্থিতি না বদলালে ধাপে ধাপে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার চিন্তা করছে সরকার।
প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠিত হয়নি এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষাও। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বঞ্চিত হচ্ছেন কলেজ জীবন থেকে। নতুন পরিবেশ-শিক্ষক-বই-বন্ধু-আড্ডা সবকিছুই যেন কেড়ে নিয়েছে করোনা মহামারি।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে এক খণ্ড স্বাধীনতার হাতছানি কলেজের করিডোর। বন্ধুত্ব উদযাপনে এনে দেয় বাড়তি রঙের ছটা। কিন্তু হায়, কলেজ নামক অধ্যায়ে ধুলোবালি, করোনাকালীন এইচএসসি ব্যাচের। কলেজের দেখা মেলে প্রতিদিন অনলাইন ক্লাসের ছোট ছোট কতোগুলো মুখে আর পাঠ্যসূচির স্ক্রিন শেয়ারিংয়ে।
কয়েকজন কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, সিনিয়রদের কাছে তাদের কলেজ জীবনে নানা অভিজ্ঞতার গল্প শুনেছি এসবের কিছুই আমাদের হলো না। ইচ্ছা ছিল কলেজে যাবো, নবীনবরণ, শিক্ষা সফর হবে এসবের কিছুই পাইনি। সে জায়গা থেকে আফসোস থেকেই যাবে। করোনার কবলে পড়ে কলেজ জীবনের স্বাদ নেয়া হলো না।
শিক্ষকরাও মিস করেন প্রাণবন্ত-উচ্ছলতায় ভরা ক্লাস রুম, কলেজ করিডোর আর মুখরিত সবুজ ঘাসে তারুণ্যের আড্ডা। তারা মনে করেন, শিক্ষাজীবনের এই দীর্ঘ বিরতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কদমতলা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রুবিনা শিমু বলেন, এই বাচ্চাগুলা খুবই দুর্ভাগা, সাথে আমরাও। অনলাইন ক্লাস কখনো বাস্তবের পরিপূরক হতে পারে না। এই ছেলেমেয়েরা আবদ্ধ থেকে, কলেজে আসতে না পেরে, সবুজ থেকে দূরে থেকে খুব বেশি ভাল নেই।
হতাশায় আচ্ছন্ন শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা, শিগগিরই বিদায় নেবে মহামারি, সুস্থ হয়ে উঠবে পৃথিবী। মানুষ বাঁচে স্বপ্ন আর আশা নিয়ে, তাই শিক্ষকদের চাওয়া সব সংকট কাটিয়ে শিক্ষাজীবন আবার হয়ে উঠবে আনন্দমুখর।
নটরডেম কলেজের শিক্ষক সুরঞ্জিতা বড়ুয়া বলেন, শিক্ষার্থীরা বাসায় থেকে থেকে হতাশ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার আনন্দ তারা হারিয়ে ফেলেছে। আগে আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখতে পেতাম তা এখন আর নেই। অন্য সব শিক্ষকের মতোই আমারও বিশ্বাস অতিমারি কেটে যাবে আমরা আবারো শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাসে ফিরবো।
/এস এন
Leave a reply