রিয়াজ রায়হান:
নিজের বিভিন্ন ডিভাইস সারাতে হরহামেশাই ঢুঁ মারতে হয় টেকনিশিয়ানদের কাছে। কখনো কখনো লম্বা সময়ের জন্য রেখে আসতে হয় মেকানিকের কাছে। এই সুযোগই কাজে লাগায় প্রতারকদের একটি চক্র। ফোন, ল্যাপটপের ব্যক্তিগত সব তথ্য, ছবি কিংবা ভিডিও চুরি করে পরে সেসব দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ফোন মালিককে।
মোবাইল, ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস মেরামত করতে গিয়ে এমন প্রতারণার শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যা দিনদিনই বাড়ছে। মেরামতের সময় একটি চক্র বিভিন্ন ব্যক্তিগত ছবি, তথ্য চুরি করে নানাভাবে প্রতারণা করছে- এমন অভিযোগ প্রতিনিয়তই জমা পড়ছে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগে।
সম্প্রতি একটি দূতাবাসের এক কর্মকর্তার দায়ের করা অভিযোগে রাজধানী থেকে এই চক্রের এক সদস্যকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। জানা যায়, ওই কর্মকর্তার ল্যাপটপের নানা ভিডিও ও ছবি চুরি করে সেগুলো দিয়ে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে আসছিলো চক্রের সদস্যরা।
প্রতারণার শিকার হওয়া এক ভুক্তভোগী জানান, আমার ব্যক্তিগত নথি, বিভিন্ন ব্যক্তিগত ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা চাওয়া হয়। টাকার পরিমাণ কম হলেও তা পরবর্তীতে আরও বাড়তে পারে সেই ভোগান্তি থেকে আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাই।
কর্মকর্তারা জানান, রাজধানী’সহ সারা দেশে প্রতারণার ফাঁদ পেতে আছে কিছু অসাধু টেকনিশিয়ান। তাদের বিরুদ্ধে চলছে নিয়মিত অভিযান।
>>> ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
ডিএমপি’র ডিসি (সাইবার ক্রাইম বিভাগ) শরিফুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন বেনামী নামে নিবন্ধন করা নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করা হয়। প্রতারকরা গ্রাহকের ডিভাইস থেকে নাম্বার সংগ্রহ করে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে তাদেরকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো তদন্ত করছি। যদি অন্য কেউ প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা সকল সহযোগিতা করবো।
একই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন কর্মকর্তারা।
Leave a reply