টুইন টাওয়ার হামলার কিছু অপ্রকাশিত নথি এবার জনসম্মুখে নিয়ে এলো এফবিআই। মূলত, মার্কিন জনগণ এবং এই হামলার ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের চাপেই হামলার দু’দশক পর তদন্তের নথি সামনে নিয়ে এলো এফবিআই। খবর বিবিসির।
মূলত, টুইন টাওয়ার হামলার সাথে সৌদি আরবের কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা সে সম্পর্কিত ১৬ পৃষ্ঠার নথি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে কয়েকজনের সাক্ষাৎকারের লিখিত নোট দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে ‘পিআইআই’ হিসেবে চিহ্নিত এক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার, যার সাথে ওই ঘটনার দু’জন হামলাকারী নাওয়াফ-আল-আজমি এবং খালিদ-আল-মিদহারের সাথে যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছিল। এছাড়া একজন ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকারও আছে এই নথিতে।
প্রকাশিত নথি থেকে সৌদি সরকারের সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে লস এঞ্জেলেসে একজন সৌদি কনস্যুলার কর্মকর্তা এবং সন্দেহভাজন সৌদি গোয়েন্দা এজেন্ট ১১ সেপ্টেম্বরে দুটি বিমান হাইজ্যাকের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রকাশ করা হয়েছে এই নথিতে। দু’জন ছিনতাইকারীকে সাহায্য করার জন্য ভ্রমণ, বাসস্থান এবং অর্থায়ন দিয়ে সহায়তা করেছিল তারা।
সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পাওয়ায় এই নথি প্রকাশের সাথে সাথেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস তা স্বাগত জানিয়েছে। একই সাথে আরও একবার টুইন টাওয়ার হামলায় সৌদি সরকারের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সৌদি আরবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১১ অক্টোবর টুইন টাওয়ারে এ সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। হামলাকারী ১৯ জনের মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন সৌদি নাগরিক। এরপরই এই হামলার সাথে সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে তদন্ত শেষে এ নিয়ে কোনো তথ্য সামনে না আনায় ক্ষোভ ছিল ভুক্তভোগীদের।
৯/১১ হামলার ২০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে এ ঘটনায় সৌদির ভূমিকা স্পষ্ট করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চাপ দিচ্ছিল ভুক্তভোগীরা। এর প্রেক্ষিতেই তদন্ত নথি প্রকাশের জন্য এফবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাইডেন। এরপরই এই নথি প্রকাশ করা হলো।
Leave a reply