মার্বেলের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় যে দেশে

|

ছবি: সংগৃহীত

ভোটিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে সারা বিশ্ব যখন ঝুঁকছে ইভিএমসহ আধুনিক সব প্রযুক্তির দিকে, তখন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া বেছে নিয়েছে প্রাচীন এক পদ্ধতি। ব্যালট পেপার নয়, দেশটিতে ভোট হচ্ছে মার্বেলের মাধ্যমে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দিনভর নির্দিষ্ট ড্রামে মার্বেল ফেলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছে গাম্বিয়ানরা। যার ভাগ্যে বেশি মার্বেল জুটবে, তিনি-ই হবেন দেশের প্রেসিডেন্ট।

এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন ৬ প্রার্থী। প্রতিজন প্রার্থীর জন্য আলাদা করে ছয়টি ড্রাম রাখা হয় ভোটকেন্দ্রে। একেক প্রার্থীর জন্য একেক রঙের ড্রাম। এরপরও পছন্দের প্রার্থীকে যেন চিনতে অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতে ড্রামের গায়ে দেয়া থাকে প্রার্থীর নাম ও ছবি।

কেন্দ্রে পরিচয় নিশ্চিতের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রত্যেক ভোটারকে দেয়া হয় একটি করে মার্বেল। নিজের পছন্দের প্রার্থীর ড্রামে সে মার্বেল ফেললেই সম্পন্ন হবে ভোট। কারচুপি বা একাধিক মার্বেল ফেলা এড়াতে ড্রামে আছে ঘন্টার ব্যবস্থাও।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা মামাদু এ. বাররি বলেন, প্রত্যেকের হাতে একটি করে টোকেন দেয়া হয়। এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কারও পক্ষেই একসাথে দুইটি ড্রামে মার্বেল ফেলা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় দেশের কারও কোন অভিযোগ নেই নির্বাচন ব্যবস্থা ও এর স্বচ্ছতা নিয়ে। এমনকি স্থানীয় নির্বাচনেও কোনো সমস্যা হয়নি।

এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। প্রতিটি মার্বেল গণনার পর ঘোষণা হবে ফলাফল। কম সময়ে শেষ করার জন্য গণনাও হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। আলাদা আলাদা ড্রাম খোলার পর, নির্দিষ্ট পরিমাণ ছিদ্র থাকা ট্রে-তে ফেলা হয় মার্বেল।

আরও পড়ুন: করোনা সম্পর্কিত ভয়াবহ তথ্য দিলো রাশিয়া

গাম্বিয়ার বড় একটি জনগোষ্ঠী এখনও শিক্ষার আলোর বাইরে। প্রশাসন বলছে, নিরক্ষর ভোটারদের সুবিধার্থেই মার্বেলের মাধ্যমে ভোটের পদ্ধতি। এতে খরচও কম। বার বার ব্যালট ছাপার ঝামেলা নেই, উল্টো একই মার্বেল ব্যবহার করা যায় সব নির্বাচনে।

মাত্র ২৫ লাখ বাসিন্দার দেশে ভোট নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ কম বিশ্বজুড়ে। তবে, বৈচিত্র্যময় ভোটিং পদ্ধতির জন্য এ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা নেহাত কম নয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply