ব্রাজিলে একটি খামারে খাবারের অভাবে মারা গেছে ৫ শতাধিক মহিষ। এজন্য খামার মালিকের অযত্ন ও অবহেলাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। মহিষ রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে এলে তাদেরকেও বাধা দেন খামার মালিক। তার দাবি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এই বিপুল সংখ্যক মহিষের।
শত শত মহিষ নিয়ে গড়ে তোলা ওই খামারটি ব্রাজিলের সাওপাওলো শহর থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দূরের ব্রোতাস শহরে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিচরণ করলেও খাবার না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রাণীগুলো। এরইমধ্যে মারা গেছে ৫ শতাধিক মহিষ।
খবর পেয়ে প্রাণীগুলোকে রক্ষায় এগিয়ে আসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। খাবার এবং ওষুধ দিয়ে মহিষগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। স্বেচ্ছাসেবীরা জানায়, লোকসানের অজুহাতে খামার মালিকের পরিকল্পনা ব্যবসা পরিবর্তনের। আর তাই দীর্ঘদিন যত্ন নেননি মহিষগুলোর।
খামারটিতে পৌঁছে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হন এনজিও কর্মীরা। বেঁচে থাকা ৬শর বেশি মহিষ তখন লড়ছে মৃত্যুর সাথে। পশু চিকিৎসক মাউরিকা ভিদাল বলেন, এখানে যখন আসি তখন মনে হচ্ছিল এটি যুদ্ধের ময়দান। প্রাণীগুলো খুবই দুর্বল এবং পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল। খাবার না পেয়ে মারাও গেছে বেশ কিছু মহিষ। অনেক মহিষের মৃতদেহ এবং দেহাবশেষ মিলেছে এখানে।
আরও পড়ুন : ভারত থেকে উদ্ধার হলো ম্যারাডোনার চুরি যাওয়া ঘড়ি
এরই মধ্যে দেশটির প্রাণী ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুয়ায়ী খামার মালিককে ৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে মালিক জানায়, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মহিষগুলোর।
/এডব্লিউ
Leave a reply