প্রতি হাটেই দেড় হাজার নৌকার ভিড় হয় কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর ঘাটে। আশেপাশের আড়াইশ চর থেকে আসে কৃষিপণ্য ও গবাদিপশু। যাত্রী, মাঝি আর দোকানিদের হাঁকডাকে জমজমাট হয়ে ওঠে এলাকা। হাটটিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় কয়েক হাজার চরবাসীর জীবনযাত্রা।
শৈশবে বাবার সাথে বৈঠা ধরেছিলেন ইউসুফ মাঝি। ৪০ বছর বয়সেও তার এই ঘাটের সাথে বারোমাসি সখ্যতা। প্রতি হাটবারে কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর ঘাটে ভেড়ে ইউসুফ মাঝির মত অন্তত দেড় হাজার মাঝির নৌকা। যাত্রী ও মালামাল আনা-নেয়া করে বিচিত্র নাম আর আকৃতির নৌকাগুলো।
চরের গবাদি পশু আর কৃষিপণ্য বয়ে নেয়া হয় এসব নৌকায়। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের শতাধিক চরে সড়ক যোগাযোগ না থাকায় এসব নৌকাই ভরসা।
সময়ের পালাবদলে বৈঠার নৌকায় যুক্ত হয়েছে ইঞ্জিন। বেড়েছে নৌকার সংখ্যাও। পরিবর্তন এসেছে চরবাসীদের জীবনমানে।
আরও পড়ুন : যশোরের প্রাণ ভৈরব নদ এখন মানববর্জ্যের সেফটিক ট্যাংক
চার দশক আগেও যাত্রাপুরের বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল এই নৌপথকে ঘিরে। কিন্তু নদ-নদীতে পানি কমে যাওয়ায় সেই সুদিন হয়তো ফুরিয়ে আসছে।
/এডব্লিউ
Leave a reply