ইউক্রেন সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে নতুন প্রস্তাব দিলো রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক কার্যক্রম সীমিত করাসহ নিরাপত্তা বিষয়ক বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে মস্কো। যার মধ্যে আছে সামরিক জোটে ইউক্রেনকে যুক্ত না করা।
খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুতিন প্রশাসন। বৈঠকের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনও। তবে আলোচনার টেবিলে নিজেদের উদ্বেগও তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এর মাধ্যমে ইউক্রেন ইস্যুতে টানা উত্তেজনার মধ্যে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার তরফ থেকে এলো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব। যাকে নিরাপত্তা বিষয়ক খসড়া চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে মস্কো।
যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রতি দেয়া এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা বিষয়ক বেশ কিছু শর্ত তুলে ধরেছে ক্রেমলিন। যার মধ্যে অন্যতম পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক কার্যক্রম বন্ধের নিশ্চয়তা। এছাড়া জর্জিয়া ও ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদের প্রস্তাব বাতিল এবং জোটের সদস্য নয়- সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এমন কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক ঘাঁটি স্থাপন না করার দাবি জানানো হয়। নির্দিষ্ট সীমানায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর বিরোধিতাও করা হয় প্রস্তাবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নির্মাণাধীন যুদ্ধজাহাজে ভয়াবহ আগুন
এ নিয়ে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই র্যাবকোভ বলেন, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর অবকাঠামো নির্মাণ চলছেই। সেসব বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা মনে করি না, আমাদের প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য। ইউরোপ ও পূর্ব ইউরোপের পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। তাই ন্যাটোর সাথে আমাদের সম্পর্ক বা আগের নীতিতে পরিবর্তন দরকার। আমাদের পক্ষ থেকে একটি আলোচক দলও গঠন করা হয়েছে। সবগুলো শর্তই একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত। তাই পুরোটাই বিবেচনায় নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
নিরাপত্তা ইস্যুতে রাশিয়ার এসব প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, আলোচনার টেবিলে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থানও তুলে ধরবে ওয়াশিংটন। ভ্লাদিমির পুতিন এখনও ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি এমন ইঙ্গিতও মিলেছে মার্কিন সরকারের সবশেষ পর্যবেক্ষণে।
এর আগে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছিলেন, ইউরোপীয় মিত্রদের ছাড়া রাশিয়ার সাথে আলোচনার টেবিলে বসবে না যুক্তরাষ্ট্র।
এসজেড/
Leave a reply