রুশ প্রভাব মুছতে ইউক্রেনে ভাঙা হচ্ছে মার্ক্স-লেলিনের ভাস্কর্য

|

ইউক্রেনের ইতিহাস থেকে সোভিয়েত এবং রুশ সংস্কৃতি মুছে ফেলতে চলছে তোড়জোর। বিভিন্ন পার্ক আর জাদুঘর থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে সাবেক সোভিয়েত আমলের ইতিহাস। ভেঙে ফেলা হচ্ছে লেনিন ও মার্ক্সের ভাস্কর্য। এমনকি বাতিল হচ্ছে রুশ সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অনেক আনুষ্ঠানিকতা। কিয়েভ বলছে, নিজস্ব ঐতিহ্য-সংস্কৃতিতে গড়ে তোলা হবে ইউক্রেনের নতুন ইতিহাস।

আগেই রাশিয়ার বলয় থেকে বের হওয়া ইউক্রেন এবার তাদের প্রভাব থেকেও মুক্ত হতে চায়। রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে সোভিয়েত নেতাদের ভাস্কর্য, ছবিসহ স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থাপনা। কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনিয়ানরা সোভিয়েত ইতিহাস কিংবা রুশ সংস্কৃতি চর্চায় আর আগ্রহী নয়। নিজস্ব ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি ঝুঁকছে দেশটির সাধারণ মানুষ।

ইউক্রেনের একটি জাদুঘরের প্রধান লিয়া দেভশেঙ্কো বলেন, আমাদের লক্ষ্য ইউক্রেনের নিজস্ব ইতিহাস তুলে ধরা। যেখানে শুধুমাত্র ইউক্রেনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আলোচনা হবে। একারণেই ইতিহাসের যেসব স্থানে সোভিয়েত ধারার চিন্তাভাবনা রয়েছে আমরা সেগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছি।

অন্যদিকে সাধারণ মানুষও বলছে, ইউক্রেনের নিজস্ব ভাষায় বইয়ের চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছে। এটা সত্য যে অনেক মানুষ এখনও রুশ ভাষাতেই অভ্যস্ত। তবে ইউক্রেনের ভাষা এবং এই বইয়ের চাহিদাই বেশি।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন,শুধু রাজনৈতিক বলয় নয়, ইতিহাস কিংবা সংস্কৃতি চর্চাতেও নিজস্বতা আনতে চাইছে ইউক্রেন। তারা মূলত ঝুঁকছে ইউরোপের দিকে।

ইউক্রেন সোভিয়েত শাসনমুক্ত হয়েছে প্রায় ৩০ বছর। একটি দেশের নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলার জন্য এটা যথেষ্ট সময়। বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে, যেখানে আগ্রাসন চালানো শক্তির কোনো প্রভাব থাকবে না। ইউক্রেন হয় তার নিজস্ব রাজনৈতিক পরিচয়ে চলবে অথবা ইউরোপকেন্দ্রিক হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে চলমান পরিস্থিতিতে রোষানলে পড়তে পারেন ইউক্রেনে বসবাসরত রুশভাষী সংখ্যালঘুরা।
/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply