বরিশাল মেডিকেলে নেই বার্ন ইউনিট, ভোগান্তিতে দগ্ধরা

|

ঝালকাঠিতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে ৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে। যদিও বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে দগ্ধরা।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ৭০ জনকে সেখানে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে শিশুসহ গুরুতর তিনজনকে পাঠানো হয়েছে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। দগ্ধদের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশু ছাড়াও আছেন একই পরিবারের বেশকয়েকজন। কর্তৃপক্ষ বলছে, দগ্ধদের মধ্যে ১০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া মানুষ আছেন। সবার চিকিৎসায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। গুরুতরদের বিষয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে ঢাকায়। তবে বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে দগ্ধদের। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ওয়ার্ডে জায়গা হচ্ছে না। অনেককে মেঝে আর বারান্দাতেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে মেডিকেল পরিদর্শনে গিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা জানান, গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। সাথে সাথেই লঞ্চের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে অন্ধকারে আগুনের শিখা ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। কিছুক্ষণ পরই লঞ্চে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হল। শরীরের যে অংশ লঞ্চে স্পর্শ করেছিলো সেই অংশই দগ্ধ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে অন্ধকারেই নদীতে ঝাপ দিতে হয়েছে। লঞ্চেও অনেকে আটকা পড়ে যায়।

আগুন লাগার কারণ হিসেবে তারা বলছে, শীতের রাতে ইঞ্জিনরুমে যে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় তা সম্ভবত বিড়ি বা সিগারেটের আগুন থেকেই লেগেছে। কারো ছুড়ে ফেলা সিগারেটের শেষ অংশ থেকেই এমনটা হতে পারে বলে ভুক্তভোগীরা ধারণা করছেন।

এর আগে গতকাল মধ্যরাতে রাজধানী ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে ঝাপ দিয়েছেন নদীতে। এতে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঝালকাঠির ফায়ার স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ চলেছে৷ হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। লঞ্চটি বর্তমানে দেউরি গ্রামের বিষখালী নদীর তীরে আছে। সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট ও পুলিশ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply