আখাউড়ায় বেশির ভাগ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ, ভোটারদের মনে শঙ্কা

|

আখাউড়া প্রতিনিধি:

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪৭টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টি ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে গোয়ন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এসব কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা।

এ নিয়ে প্রশাসন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ করতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৪৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ধরখার ইউনিয়ন সবকয়টি ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের মধ্যে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে ছয়টি, উত্তর ইউনিয়নে ছয়টি, মোগড়া ইউনিয়নে ৫টি এবং মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতদের পরিবার পাবে ২৫ হাজার টাকা

এ নিয়ে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সবগুলো ভোট কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ভোটাররা যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে নিরাপদে ফিরতে পারেন এজন্য পাঁচটি ইউনিয়নে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনী নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকবে। এছাড়াও মোবাইল টিম, স্টাইকিং ফোর্স, কুইক রেসপন্স টিম এবং জুডিশিয়াল ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দ্বায়িত্ব পালন করবেন।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুফিয়া সুলতানা বলেন, ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আখাউড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ৪৭টি কেন্দ্রের ২০৬টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪৮ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৮৪ হাজার ৪৩৮জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪২ হাজার ৯৮৩ এবং নারী ভোটার ৪১ হাজার ৪৫৫ জন।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply