‘মানসিক পীড়নেই মৃত্যু হয়েছে কুয়েট অধ্যাপক সেলিমের’

|

লালন শাহ হলের ডাইনিংয়ের কর্তৃত্ব নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অধ্যাপক সেলিম হোসেনক মানসিকভাবে চাপ দিতো। মূলত মানসিক পীড়নেই তার মৃত্যু হয়েছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এমনটা উল্লেখ করে নয়টি সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশের ভিত্তিতে শোকজ করা ৪৪ ছাত্রকে সোমবারের (৩ জানুয়ারি) মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। মনঙ্গলবার ছাত্র শৃঙ্খলার সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা শৃঙ্খলা কমিটির।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ডাইনিং পরিচালনায় নিজেদের পছন্দের লোক নিয়োগে প্রভোস্ট সেলিম হোসেনকে মানসিক অস্থিরতায় রাখতো কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সিজান ও তার অনুসারীরা।

হলটি বর্তমানে সিলগালা। অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর পর সিলগালা করে দেয়া হয় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের আলোচিত সেই ৩০৫ নম্বর কক্ষটিও। যেখানে সবশেষ মানসিক নিপীড়নের শিকার হন সেলিম হোসেন।

তদন্ত কমিটি প্রধান অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমাদ জানান, প্রচণ্ড রকমের মানসিক চাপে ছিলেন ডক্টর সেলিম। গত ৩০ নভেম্বর অফিস কক্ষে এক সাথে এতো ছাত্রের মানসিক নিপীড়ন সহ্য করতে পারেননি তিনি। তদন্ত কমিটি প্রধান অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমাদ জানিয়েছেন, বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতিক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সেলিম হোসেনের মৃত্যুর পর ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি তোলে শিক্ষক সমিতি। আর প্রকাশিত ১৪০ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে যে নয়টি সুপারিশ করা হয়েছে তাতে ছাত্র রাজনীতি একবারে নিষিদ্ধ না করে সাময়িক স্থগিত করার কথা বলা হয়েছে।

লালন শাহ হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব পেয়েছেন সিভিল বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আতাউর রহমান। তিনি বলছেন, দায়িত্বটা তার জন্য চ্যালেঞ্জের।

৪৪ ছাত্রের শোকজ ও সার্বিক বিষয়ে ৪ ও ৫ জানুয়ারি শৃঙ্খলা কমিটি এবং সিন্ডিকেট সভার দিন নির্ধারিত রয়েছে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply