সার্চ কমিটির চিঠি পেলেও নাম দেয়ার আগ্রহ নেই বিএনপির

|

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ১০ জনের নাম চেয়ে বিএনপির কাছে সার্চ কমিটির পাঠানো চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে, নাম দেয়ার আগ্রহ নেই বলেও উল্লেখ করেছেন এই বিএনপি নেতা। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) যমুনা নিউজের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন রুহুল কবির রিজভী।

এ সময় তিনি বলেন, চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দলের সিদ্ধান্ত বদল হবে না। এই সিদ্ধান্ত দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত। এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, বিএনপি কোনো নাম প্রস্তাব করবে না।

ইসি গঠনের জন্য সার্চ কমিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি)। এদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর অফিসের ঠিকানা ও ই-মেইলে চিঠি পাঠানো হয়। সার্চ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে সাচিবিক সহায়তা প্রদানকারী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি পাঠিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিএনপিকেও চিঠি পাঠায় সার্চ কমিটি।

রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দেশের বিশিষ্টজন, গণমাধ্যমকর্মী ও পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিদের কাছেও বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ইসি গঠনের জন্য যোগ্য ও আগ্রহীদের কাছে নাম চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সার্চ কমিটি। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরাসরি, ডাকযোগে বা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ই-মেইলে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানাসহ পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসি গঠনের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ এর ধারা ৩ মোতাবেক আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। তাতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে রয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুমোদন দেয়া হয়। গত ২৭ জানুয়ারি বিলটি জাতীয় সংসদে পাসের পর ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আইনটিতে সম্মতি দেন। ৩০ জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২’ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply