সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চায়ের আড্ডায় উন্মুক্ত লাইব্রেরি

|

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে যারা চায়ের আড্ডা দিতে আসেন, তাদের জন্য বই পড়ার ব্যবস্থা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী তানভীর হাসান সৈকত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে একটি উন্মুক্ত লাইব্রেরি তৈরি করেছেন তিনি। লাইব্রেরিটি আজ রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উদ্বোধন করা হয়েছে।

যে জায়গাটিতে লাইব্রেরি করা হয়েছে সেখানে আগে ছিল খাবারের দোকান। কয়েকদিন আগে দোকান তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জায়গাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সৈকত গড়ে তুলেছেন লাইব্রেরি। জায়গাটির সৌন্দর্য বাড়াতে লাইব্রেরির আশেপাশে সাজানো হয়েছে রং তুলি দিয়ে।

লাইব্রেরির উদ্যোক্তা তানভীর হাসান সৈকত যমুনা নিউজকে বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি চিন্তা, চেতনা, মনন তথা সামাজিক উন্নয়নের সমান অগ্রগতির প্রয়োজন আছে। চিন্তার বিকাশের বড় হাতিয়ার হলো বই। উন্নত বিশ্বে রাস্তার ধারে কিংবা পার্কের সবুজ ছায়ায় বই পড়ার প্রচলন দীর্ঘকাল থাকলেও দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশে নেই। আমি চাই এভাবেই একদিন সমগ্র দেশে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্মুক্ত লাইব্রেরি স্থাপন করতে।

তিনি আরও বলেন, আমি ভবিষ্যতে এই লাইব্রেরিকে আরও অনেক বড় উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো একটি জায়গার চারিপাশ সবসময় ময়লা আবর্জনায় ভর্তি থাকে। এমন একটি জায়গা এভাবে থাকা উচিত না। এজন্যই লাইব্রেরিটি স্থাপন করেছি যেন সবাই এখানে শিল্প সাহিত্য চর্চা করতে পারে।

করোনা শুরুর দিনগুলোতে টিএসসিতে খাবার রান্না করে ছিন্নমূল, ভাসমান মানুষকে টানা ১২১ দিন খাইয়ে ছিলেন সৈকত। এ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ তাকে ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

সৈকত ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সদস্য ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপসমাজ সেবা সম্পাদক।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply