অপরাধী শনাক্তে অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে ডিএমপি

|

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

আড়াই কোটি মানুষের নগরী ঢাকা। নগর আর নাগরিকের নিরাপত্তায় এখানে কাজ করছে প্রায় একত্রিশ হাজার সদস্যের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সাফল্য-ব্যর্থতার মিশেলে পুলিশের সবচেয়ে বড় এই ইউনিট পার করলো ৪৬ বছর। ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নিজেদের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানালেন ডিএমপি কমিশনার।

অপরাধী শনাক্তে অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা। কাজ চলছে ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও। ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসব পরিকল্পনার কথাই জানালেন ডিএমপি কমিশনার।

নগর পুলিশ প্রধান বললেন, নগরীর বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতই তাদের মূল লক্ষ্য। তিনি জানান, আয়তনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি মানুষের এ নগরীতে কতটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তাদের। ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ডিএমপিতে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি। এই ল্যাবের মাধ্যমে ক্রিমিনালের যেকোনো একটি তথ্য পেলেই আমরা তাকে শনাক্ত করতে পারবো। এমনকি দেশের কোথায় কী কী ক্রাইম করেছে সেটিও আমরা মুহূর্তের মধ্যে বের করতে পারবো।

অপরাধী শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও লেগেছে সবশেষ প্রযুক্তির ছোঁয়া। এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ১০০’র বেশি স্পটে আমরা ক্যামেরা ইনস্টল করেছি। এগুলোতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স থাকবে। ফলে যানবাহন ব্যবহার করে অপরাধী শনাক্ত সহজ হবে। এমনকি অপরাধী পুনরায় ক্যামেরার আওতায় আসা মাত্রই আমাদের কাছে নোটিফিকেশন চলে আসবে।

কমিশনারের দাবি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে যেমন সাফল্য এসেছে, তেমনি নগরবাসীর সেবায় অনলাইন জিডি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, কমিউনিটি পুলিশিংসহ নানামুখী উদ্যোগে পুলিশী সেবার কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। তিনি জানান, যানজটের কবল থেকে মুক্তি দিতে ভাবনা চলছে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়েও।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মাস ট্রানজিট ছাড়া এইসব মটর সাইকেল বা প্রাইভেট কার দিয়ে এই শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ কখনই সম্ভব না। ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে আমরা এই কাজটি শুরু করেছি। এবং সামনের মাস থেকে আমরা আরও একটি নতুন রুটে এটি চালু করবো। বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে যদি কিছুটা শৃঙ্খলা আনা যায় তাহলে হয়তো কিছুটা উন্নতি করা সম্ভব।

তবে, এতসব উদ্যোগের পরও মাদক, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ দমন এখনো কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি বলে মনে করে সাধারণ মানুষ। একই সাথে বিভিন্ন মামলার তদন্তও দ্রুত শেষ করা উচিত বলে মনে করেন তারা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply