এখন বড় জাহাজও নির্বিঘ্নে ভিড়বে চট্টগ্রাম বন্দরে

|

আমদানি-রফতানি বাড়লেও চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। শুরু থেকেই জেটিতে ভেড়ানো যায় না বড় জাহাজ। তবে অবশেষে দূর হচ্ছে সেই বাধা। বড় দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভেড়াতে বাড়ানো হচ্ছে বন্দর জেটির গভীরতা। এতে পরিবহন ব্যয় কমবে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম বন্দরে বড় দৈর্ঘ্যের জাহাজ প্রবেশে সমস্যা সৃস্টি করে কর্ণফুলী নদীর গুপ্তবাঁক অংশ। কারণ এ অংশে প্রায় ৯০ ডিগ্রি ঘুরে আসা-যাওয়া করতে হয় জাহাজগুলোকে। এছাড়া গভীরতা কম কর্ণফুলীর প্রবেশমুখ অর্থাৎ, বঙ্গোপসাগর ও নদীর সংযোগস্থলেরও। তবে চট্টগ্রাম চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান জানালেন, সম্প্রতি গুপ্তবাঁকের প্রশস্ততা ৬০ মিটার বাড়িয়েছেন তারা। জানালেন, গভীরতা বাড়ানো হয়েছে আউটারবার এবং ইনারবারেও। কারণ সাড়ে ১০ মিটার গভীরতা এবং ২শ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের বড় জাহাজ বন্দর জেটিতে আনার লক্ষ্য তাদের।

এতোদিন ৯ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা এবং ১৮৬ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজে সর্বোচ্চ দেড় হাজার টিউস কন্টেইনার পরিবহণ করা সম্ভব হতো। সাড়ে ১০ মিটারের জাহাজে পরিবহণ করা যাবে ৩ হাজার কন্টেইনার। সাইফ মেরিটাইমের চিফ অপারেটিং অফিসার আবদুল্লাহ জহির মনে করেন, এতে পণ্য পরিবহণ ব্যয় কমবে অন্তত ৩০ শতাংশ। বাড়বে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংও।

বড় আকারের জাহাজ আনতে উৎসাহিত করতে বাড়তি সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শিপিং কোম্পানিগুলোও রয়েছে অনুমতির অপেক্ষায়। ফলে আশা করা যাচ্ছে বন্দরে এবার ভিড়তে শুরু করবে বড় বড় জাহাজ।

উল্লেখ্য, গত বছর রেকর্ড ৩২ লাখ ১৪ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার এবং ১১ কোটি ৭৭ লাখ মেট্রিক টন বাল্ক পণ্য হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply