ইউক্রেনে শরণার্থীদের সাহায্য করারও সুযোগ পাচ্ছে না কৃষ্ণাঙ্গরা

|

রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে প্রাণে বাঁচতে ইউক্রেন ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। প্রতিদিনই যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন সীমান্ত এলাকায়। মানুষের লক্ষ্য, যে করেই হোক ইউক্রেন ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়া। এরই মধ্যে অনেকে অভিযোগ করছেন, ইউক্রেন ও ইউরোপের শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের সুবিধা দিতে অশ্বেতাঙ্গরা বাধার মুখে পড়ছেন সীমান্তে। ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রবেশেও অগ্রাধিকার পাচ্ছে শ্বেতাঙ্গরা। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল এসব ঘটনার ভিডিও। সমালোচনার মুখে পড়েছে ইউক্রেনসহ কয়েকটি দেশ।

ইউক্রেনের নাগরিক ছাড়াও নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্তের দিকে ছুটছেন দেশটিতে বসবাসরত বিদেশিরাও। তাদের এ যাত্রায় পাড়ি দিতে হচ্ছে দীর্ঘ পথ, অতিক্রম করতে হচ্ছে অনেক বাধা-বিপত্তি। তবে অভিযোগ উঠেছে, প্রাণ বাঁচানোর এ মিশনে বর্ণবৈষম্যের শিকার হচ্ছেন কৃষ্ণাঙ্গরা। ইউক্রেনের প্রতিবেশি যেসব দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও উঠছে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ। অনেকেই বলছে, দেশগুলোতে প্রবেশে অগ্রাধিকার পাচ্ছে শ্বেতাঙ্গরা।

একজন শরণার্থী অভিযোগ করলেন, এখানে সবকিছুতেই ইউক্রেনের নাগরিক আর শেতাঙ্গরা প্রাধান্য পাচ্ছে। এরপর সুযোগ পাচ্ছে ভারতীর আর আরবরা। সবশেষে তারা কালোদের নিয়ে ভাবে। আপনি কালো তার মানে আপনাকে কেউই পছন্দ করে না। কোনো কারণ ছাড়াই এখানে আমি একজন কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশের কাছে মার খেতে দেখেছি।

এক কৃষ্ণাঙ্গ জানালেন, ইউক্রেনে আগে থেকেই বর্ণবৈষ্যম রয়েছে। এখানকার অনেকেই, এমনকি পুলিশও কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে বর্ণবাদী আচরণ করে। যুদ্ধের মধ্যেও তারা আমাদের সাথে বাজে আচরণ করছে। তবে শুধু কৃষ্ণাঙ্গই নয়, অন্যান্য অশ্বেতাঙ্গরাও শিকার হচ্ছেন বর্ণবৈষম্যের। অনেকের দাবি, ইউক্রেন ও ইউরোপের নাগরিকদের সীমান্ত যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কোথাও কোথাও অশ্বেতাঙ্গদের বাস-ট্রেনে উঠতে দেয়া হচ্ছে না।

তবে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশগুলো। তারা বলছে, সীমান্তে সব দেশের নাগরিককেই দেয়া হচ্ছে সমান সুযোগ।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply