যেভাবে সাধারণ ইউক্রেনীয়রাও জড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধে

|

যুদ্ধ পাল্টে দিয়েছে ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের জীবন। যারা কখনও অস্ত্র ছুয়েও দেখেনি তারাও নিচ্ছেন সামরিক প্রশিক্ষণ। লক্ষ্য রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষকরা বলছেন, হাতে কলমে গেরিলা যুদ্ধের কলাকৌশল শেখানো হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকদের।

রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই প্রতিরোধ যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের শামিল করা হচ্ছে। শুরুর দিকে শারীরিকভাবে ফিট এবং তুলনামূলক তরুণদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। তবে এখন সব ধরনের নাগরিকই অংশ নিচ্ছেন এতে। যার মধ্যে রয়েছেন ইউটিউবার থেকে শুরু করে কর্পোরেট চাকুরেসহ নানা পেশার মানুষ।

প্রযুক্তিবিদ রস্তিসল্যাভ লোপোশা বললেন, আমি জীবনে কখনও অস্ত্র হাতে নেইনি। আমাদের সামনে এখন একটাই পথ। সেটা হলো লড়াই করা। পুরো জাতি আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমাদের লক্ষ্য মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য লড়াই করা, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা।

ইউটিউবার অ্যান্ড্রি সেনকিভ জানালেন, তার অস্ত্র চালনার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। বললেন, আমি অহেতুক সংঘাতের বিপক্ষে। কিন্তু এখন লড়াই করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

সামরিক প্রশিক্ষকরা বলছেন, মূলত গেরিলা যুদ্ধের জন্য দেয়া হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ। রুশ হামলার মুখে টিকে থাকার পাশাপাশি পাল্টা আঘাত করে কীভাবে আত্মগোপন করা যায় তাই হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে। প্রশিক্ষক ডেনিস কোহাট জানালেন, কীভাবে রুশ সেনাদের গুলি এড়িয়ে টিকে থাকতে হবে সেটা সেখানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই সাথে কীভাবে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে সেই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি, কীভাবে খালি হাতে রুশ সেনাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে হামলা করতে হবে সেটিও হাতে কলমে শেখাচ্ছি আমরা।

ইউক্রেনের দাবি, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য নাম লিখিয়েছেন প্রায় এক লাখ বেসামরিক নাগরিক। অনেকে বিদেশ থেকে ফিরে নামছেন লড়াইয়ের ময়দানে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply